বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ২০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন নিশ্চিতে সতর্ক থাকতে হবে : শামসুজ্জামান দুদু যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়ক অবরোধ, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ আশুলিয়ায় বেতন দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ রাতভর অভিযানে সাদাপাথরে ফেরানো হলো ১২ হাজার ঘনফুট জব্দকৃত পাথর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে অনুমোদনবিহীন কর্মসূচিতে আইনি ব্যবস্থা দেশের সব সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত ভারতকে কঠোর হুঁশিয়ারি: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শুরু হলো তিন দিনের হজ ও ওমরাহ ফেয়ার চাঁদপুরের ৫ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী যারা এজেন্সি মালিক বিড়ি নিয়ে সৌদি যান, স্বর্ণ এনে ধরা খান: ধর্ম উপদেষ্টা

কোটা ব্যবস্থার বিলোপ সাধন করতে হবে: ছাত্র অধিকার পরিষদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের পরিবারের সন্তানদের সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে আজ সোমবার জরুরি সংবাদ সম্মেলন করছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত বা আহতদের পরিবারের সদস্যদেরকেও কোটাব্যবস্থায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এই কোটা বৈষম্যকে বিলোপ করার জন্য যেই ২০১৮ সালে আন্দোলন করেছিলাম। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন হয়। কিন্তু আমরা ৭ মাস পার না হতেই দেখছি, যে বৈষম্যবিরোধী চেতনা তার বিরুদ্ধে গিয়ে সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

তিনি বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে এ ধরনের কোটা থাকতে পারে না।

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে যে কোটা সংস্কার আন্দোলন হয়েছে সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্র, তরুণ, জনতারা। যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদেরকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, শুধুমাত্র আমরাই এই দেশের মালিক নয়। এর মালিক এ দেশের সবাই। আমরা মনে করি, একটা বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেভাবে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেভাবেই ২০২৪-এ গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। মূলত একটা বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের জন্য এই লড়াই।

বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, রেলে কোটা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনও কোটা আছে। কিন্তু সেখানকার কোটা নিয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে স্কুলে ভর্তিতে কোটাব্যবস্থায় দৃষ্টি দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রদের বৈষম্য রোধ করতেই আমরা আন্দোলন করেছি। এই ছাত্রঅধিকার পরিষদের জন্ম হয়েছে। আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেছি। ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ প্রযক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছি। সেই জায়গা থেকে আমরা আবার বলছি, কোটাব্যবস্থা চালু রয়েছে, এর বিলোপ সাধন করতে হবে। যদি না করা হয়, ছাত্রঅধিকার পরিষদ তীব্র থেকে তীব্রতর আন্দোলন শুরু করবে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ