বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭


ইলেকশন ও নমিনেশন: অম্লমধুর অভিজ্ঞতা 


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী ||

কিশোরগঞ্জ সদর হোসেনপুর মিলে বর্তমানে আসন নং-১ গঠিত। আগে শুধু সদর ছিল কিশোরগঞ্জ-৩ । এ আসনটি কোনোদিনই একচেটিয়া ছিল না। এখানে দলীয় মনোবৃত্তিসম্পন্ন ভোটারের তুলনায় অভিজাত সংস্কৃতিবান, নাগরিক শান্তিপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক পরিপক্বতার গ্রেডে উন্নত ভোটারের অনুপাত বেশী। এই ভোট যে প্রার্থী বেশী লাভ করবেন, জয়ের মালা তারই হবে। শুধু দল বা সংগঠনের ভোট এখানে জয়ের জন্য যথেষ্ট নয়। 

যেমন ৯১ সালে একক নির্বাচন করে মাওলানা আতাউর রহমান খান সাহেব হজুর ১৯ হাজার ভোট বেশি পেয়ে পাস করেছেন। তখন হান্নান মোল্লা সাহেব লাঙ্গলে ৮  হাজার ও জামাত সাড়ে তিন হাজার ভোট পায়। ৪০ হাজার ভোট পেয়ে নৌকা দ্বিতীয় হয়। হুজুর পান প্রায় ৬০ হাজার ভোট। এরপর বিএনপির ভুল নমিনেশনের কারণে ৪ দলীয় জোট করেও বিএনপি প্রার্থী প্রত্যেকবার ১০/১২ হাজার ভোটে পরাজিত হন। মানে ভোটার বৃদ্ধি এবং ৪ দলীয় জোট হওয়ার পরও হুজুরের তুলনায় প্রতিবার ৩০/৩৫ হাজার ভোট কম পান। এটি শুধু সদরের হিসাব। হোসেনপুর সহ ধরলে তিনটি বড় বাক্সের পর সাড়ে চার লাখ ভোটের অধিকাংশ পেতে হবে। আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের ভোট এবার হবে বিশাল এক রহস্য। ইসলামী পক্ষ একটি মাত্র বাক্স দিলে হবে আরেক হিসাব। জুলাই বিপ্লবের তরুণ তরুণীদের প্রথম ভোট হচ্ছে আরেক দুর্বোধ্য ভোটব্যাংক।

মধ্যপন্থী বিজ্ঞ চিন্তাশীল ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নাগরিকদের কয়েক হাজার এবং ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সের মধ্যকার নবীন ভোটারদের কয়েক হাজার, কমবেশি মোট ৮০/ ৯০ হাজার ভোটই হবে কিশোরগঞ্জ সদর হোসেনপুর আসনে জয় পরাজয়ের সিদ্ধান্তমূলক ভোট। প্রায় ৭০ বছর ধরে কিশোরগঞ্জ সদর আসনে এমন রীতি ঐতিহ্যই দেখা যায়। নিজের দল মত যথাসম্ভব ঠিক রেখেও কিশোরগঞ্জ সদরের মধ্যপন্থী ভোটাররা ভদ্র মার্জিত নির্বিবাদী শান্তিপ্রিয় ব্যক্তিত্ববান মানুষকে এমপি বানায়। এ মনস্তাত্ত্বিক ধারাবাহিকতা না বুঝে নমিনেশন দেওয়া হলে মানুষ নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। 

১৯৫৪ সনে যুক্তফ্রন্টের সময় এ আসন থেকে নৌকা মার্কা নিয়ে মাওলানা আতহার আলী রহ. মেম্বার অব ন্যাশনাল এসেম্বলি বা এমএনএ নির্বাচিত হন। এ সময় ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে মাওলানা ভাসানী সোহরাওয়ার্দীর আওয়ামী লীগ, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের কৃষক প্রজা পার্টি, মাওলানা আতহার আলী, সৈয়দ মুসলেহুদ্দীন রহ. এর নেজামে ইসলাম পার্টি ও কমিউনিস্ট বাম ঘরানার কিছু দল মিলে যুক্তফ্রন্ট হয়েছিল। 

১৯৭০ এর নির্বাচনে মাওলানা আতহার আলী রহ. নেজামে ইসলাম পার্টির প্রধান হিসেবে কিশোরগঞ্জ সদর থেকে বই মার্কায় নির্বাচন করেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি পিডিপির মাওলানা সৈয়দ মুসলেহুদ্দীন রহ.। সাবেক একই দলের মধ্যে ভাঙ্গনের ফলে এই আসনে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহেব সামান্য ভোটের ব্যবধানে নৌকা মার্কা নিয়ে পাস করে ফেলেন। সম্ভবত তখন এই দুই জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ মাওলানার সম্মিলিত প্রাপ্ত ভোট ছিল  বিজয়ী প্রার্থীর চেয়ে বেশি। দুই বুজুর্গ আলাদা না হলে কিশোরগঞ্জ সদর আসনে তাদের যে কোনো একজন পাস করতেন। সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহেব এমপি হতে পারতেন না। 

এরপর এই আসন থেকে এমপি হন আওয়ামী লীগের এডভোকেট আবদুস সাত্তার, একবার প্রফেসর আবদুল গণি সাহেব জনপ্রিয় হওয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের লোকজন তাকে তুলে নিয়ে যায়। আওয়ামী আমলে একদলীয় নির্বাচনে সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান পট্টু মিয়া সাহেবকে (সৈয়দ নজরুল সাহেবের ছোটো ভাই)  পরাজিত করে নির্বাচিত হন জনপ্রিয় শিক্ষক  আশরাফুদ্দীন আহমদ (অধ্যাপক শরীফ সাদীর পিতা)। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময় ন্যাপ থেকে আগত বিএনপি প্রার্থী ডা. ফজলুল করিম নির্বাচিত হয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী হন। ১৯৮৬ সনের নির্বাচন বিএনপি বর্জন করে। এ নির্বাচনে অঙ্গীকার ভঙ্গ করে এরশাদের অধীনে আওয়ামী লীগ ও জামাত নির্বাচনে চলে যায়।

কিশোরগঞ্জ সদর থেকে নৌকা মার্কা নিয়ে এডভোকেট ফজলুর রহমান, লাঙ্গল নিয়ে সবিতা মাহমুদ নির্বাচন করেন। নির্দলীয় প্রার্থী হিসাবে আমার পরম সম্মানিত পিতা মাওলানা আতাউর রহমান খান সাহেব হজুর রহ. রিকসা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে অন্তত ৪০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পাস হতে হতে ভোট ডাকাতি, ২৭টি কেন্দ্র লুট, ব্যালটভর্তি  ভোটের বাক্স খেত খামার পুকুর ও রাস্তাঘাটে ফেলে দেওয়া  এবং একটি সেন্টারের ৬০০০ ভোট সিল মেরে বিশেষ বাক্সে দিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে খান সাব হুজুরের বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ৪০ হাজার ভোটের বেশি ব্যবধানে  সম্ভাব্য বিজয়ী প্রার্থীকে ১৮ শ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়।

খান সাহেব হুজুর নির্বাচন বাতিল চান। মানা হয়নি। বলেন, একটি মাত্র কেন্দ্রে পুননির্বাচন দেওয়া হোক। ৬০০০ এর মধ্যে ৪৫০০ ভোটই তিনি পাবেন। দেওয়া হয়নি। রাতে ময়মনসিংহ সেনানিবাসের জিওসি ফোন করে বললেন, প্রেসিডেন্ট এরশাদ সাহেব কথা বলবেন, আপনি পরবর্তী কলটা ধরবেন। আব্বা হুজুর ফোন তুললেন, এরশাদ সাহেব বললেন, নতুন ভোট বা একটি সেন্টারে পুনর্নির্বাচন  দরকার হবে না। আমি খবর নিয়ে দেখলাম, জমাকৃত বাক্সগুলো আবার গোনা হলেই আপনি পাস। কিন্তু আপনাকে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিতে হবে। ইনশাআল্লাহ যোগ দেওয়ার সাথে সাথে আপনার জয়ের ডিক্লারেশন এবং সংসদে শপথ নেওয়ার পরপরই  কেবিনেট গঠনের দিন একটি দফতরের মন্ত্রী করা হবে।

আব্বা জবাবে বললেন, আমি সারাজীবন জনগণের মতামতকে সম্মান দিয়ে রাজনীতি ও সমাজের খেদমত করে এসেছি। মানুষ আমাকে ভালোবেসে বিশ্বাস করে ভোট দিয়েছে। আপনার প্রার্থী সবিতা মাহমুদকে তো জনগণ ভোট দেননি। আওয়ামী লীগের ফজলুর রহমানকে দেয়নি। আমি আমার প্রাপ্ত বিজয় পেতে চাই। আপনার দলে যোগদান বা মন্ত্রিত্ব আমাকে সম্মানিত করবে না। জনগণের আস্থা ও ভালোবাসাই আমার সারাজীবনের অর্জন। 

প্রেসিডেন্ট ফোন ছাড়ার আগে শুধু বললেন, মাওলানা সাহেব, আপনি মত বদল করলে কর্ণেল রহমানকে জানাবেন। আব্বা বললেন, জনাব, আমি চিন্তা করেই কথা বলেছি। মত পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই। অনেক বছর পর বারিধারায় প্রেসিডেন্ট পার্ক এপার্টমেন্টে এক আলাপ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট এরশাদ ৮৬ সালের এই ইলেকশনের জন্য আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তোমার আব্বার সাথে এমনটি করা আমার জন্য ঠিক হয়নি। তিনি হয়তো আমাকে ক্ষমা করেননি। তার বড় ছেলে হিসাবে পারলে তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও। ৮৬' র ওই ফোনালাপের পর তোমার আব্বার সাথে আমার আর কোনোদিনই কথা হয়নি। হাফেজ্জি হুজুরের জানাজায় সাক্ষাৎ হলেও তিনি আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন।  

এর সপ্তাহ খানেক পর কিশোরগঞ্জ সদর একসাথে দুই এমপি লাভ করলো। ভোট *** কোটায় এডভোকেট ফজলুর রহমান আর মহিলা কোটায় অধ্যাপিকা সবিতা মাহমুদ। জনগণের নির্বাচিত এমপি খান সাহেব হজুর জনগণের সাথেই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলেন। কয়েক মাসের মধ্যে স্বৈরশাসক ও তার সহযোগীদের এই সংসদ ভেঙে যায়। এই সুবাদে সারাদেশে কিছু লোক অবৈধ ও স্বৈরাচারী সরকারের স্বল্প মেয়াদী সংসদের এমপি হওয়ার সুযোগ পায়। 

বিরাজ বাবুর মেয়ে সবিতা, পরে বিয়ে সুবাদে সবিতা মাহমুদ হোন্ডা গুন্ডা মার্কা ইলেকশনের পর অন্তত ১০ বার আব্বা আম্মা ও আমার দাদিজির কাছে ক্ষমা চেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আর ফজলুর রহমান সাহেব ৮৬ তে তার নেতাকর্মীদের নিয়ে কিশোরগঞ্জের ভোটারদের মনে যে আঘাত হেনেছিলেন, এর চেয়ে কম করে হলেও ১০গুণ আঘাত তিনি তার সিনিয়র নেতা আবদুল হামিদ সাহেবের নিকট থেকে গত ৪০ বছরে পেয়ে গেছেন। 

আমরা দুনিয়াবি কারণে কারো প্রতি মনে কষ্ট লালন করিনা। ৯১ নির্বাচনে ফজলুর রহমান সাহেব আব্বার নিকট প্রায় ১৯ হাজার ভোটে পরাজিত হওয়ার দুয়েক দিন পরই তাকে স্টেশন রোডে হেঁটে যেতে দেখে আব্বা ডেকে এনে বসান এবং নিজের প্লেট থেকে বিস্কুট ও পেটিস খেতে দিয়ে বলেন, ইলেকশনের আগে বক্তৃতায় যত কথা বলেছ, আমি এসব কিছুই মনে রাখিনি। তুমি নির্দ্বিধায় আমার সাথে যোগাযোগ রাখবে। আল্লাহ আমাকে বিজয় দিয়েছেন। আমি দায়িত্ব পালনে সব নাগরিককে সমান চোখে দেখবো। ফজলুর রহমান সাহেব আব্বার তুলে দেওয়া বিস্কুট ও পেটিসের টুকরা খেয়েছিলেন কিনা সেকথা আজ আর স্পষ্ট মনে নেই কিন্তু পরে অবস্থার পরিবর্তনে তিনি বিএনপিতে এসেছেন এবং বর্তমানে এই দলের হয়ে ইলেকশন করছেন। তাছাড়া, কিশোরগঞ্জ -৪ আসনটিও আমার দাদাজানের আদি গ্রামের বাড়ির এলাকা হওয়ায় দেখা যাবে আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজনরাই ফজলুর রহমান সাহেবের চারপাশে থেকে বিএনপির নির্বাচনী যুদ্ধটি সামাল দিচ্ছে।

আধুনিক কিশোরগঞ্জের ইতিহাসে,  বিশেষ করে ৮৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সব নির্বাচনে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় প্রার্থী, নিষ্কলুষ রাজনীতিবিদ আলেম মাওলানা আতাউর রহমান খান সাহেব হজুর রহ. এর সন্তান হিসাবে আমরা ৫ ভাইও কামনা করি, তিনি জীবনের শেষ দিকে একবার হলেও বৈধ ভোটে সংসদে যাওয়ার সুযোগ পান। সদরে যদিও তিনি ভালো ফল করেননি, আশা করি ভাটির আসনে আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে তিনি জয় পেয়ে যাবেন।

১৯৮৮ সনের একদলীয় নির্বাচনে আলমগীর হোসেন সাহেব এমপি হন। এরশাদের পতন পর্যন্ত তিনি সদরের এমপি ছিলেন। এলাকায় তার সামাজিক জনপ্রিয়তা ছিল। তার সময়ে ভৌত অবকাঠামোগত নির্মাণ ও উন্নয়ন হয়েছে। সারাদেশের মতো নতুন  ডিসি এসপি অফিস তার সময় হয়েছে। এরশাদ সাহেবের প্রস্তাবে সাড়া দিলে ৮৬ ও ৮৮ দুই পার্লামেন্টে সদস্য থাকা এবং মন্ত্রিত্ব লাভ খান সাহেব হজুরের জন্য খুবই সহজ ছিল। কিন্তু তিনি তার নীতি আদর্শ ও  ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে বারবার এমপি মন্ত্রী না হয়ে কিশোরগঞ্জের মানুষের অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ভালোবাসাকেই বেছে নেন। এ সময়টিতে মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস সাহেব এমপি মন্ত্রী হুইপ ইত্যাদি হয়েছিলেন। তিনিও জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ এবং আমার আব্বার মতোই দুনিয়াবিমুখ নির্লোভ আলেম। বাড়ি গাড়ি অর্থ সম্পদ ব্যাংক ব্যালেন্স করেননি। আমার আব্বার মতোই তার নিজের একটি নির্বাচনী এলাকা রয়েছে।  হাজার হাজার ভোট রয়েছে। 

১৯৯১ সনে খান সাহেব হজুর জনগণের আকাঙ্খা পূরণে আবার নির্দলীয় নির্বাচনের নিয়ত করেন। তখন বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার জন্য বলা হয়। বেগম খালেদা জিয়া কিশোরগঞ্জে জনসভায় এলে স্টেডিয়ামের মঞ্চ থেকে এসে আসরের নামাজ শেষে  বিচৌধুরী সাহেব কাচারি মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে খান সাহেব হজুরের কাছে বেগম জিয়ার ইচ্ছাটি ব্যক্ত করেন। আগেই বেগম জিয়ার ইচ্ছা অনুযায়ী এই সাক্ষাতের সময় নির্ধারণ করা হয়। এরশাদের পতনের পর সারাদেশে জনপ্রিয় প্রার্থী সন্ধানে সব রিপোর্ট আপনার পক্ষে আছে।  বেগম জিয়ার সিদ্ধান্ত, আমি যেন আপনাকে জানিয়ে দেই যে, বিএনপির সদস্য ফরম বা কুপন কাটার আগেই আপনার নমিনেশন কনফার্ম। আপনার সম্মতি পেলেই নেতৃবৃন্দকে এই মেসেজ দিয়ে দেওয়া হবে। 

হুজুর তখন বলেন, আমি সপ্তাখানেক পরে আমার সিদ্ধান্ত জানাব। এর আগে আমি আমার পৌরসভা  ও ১১ ইউনিয়নের ময় মুরব্বি ও মহব্বতের লোকজনের সাথে পরামর্শ করব, বিশেষ করে বৃহত্তর মোমেনশাহীসহ ঢাকায় আমার ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বন্ধু বান্ধবকে বিষয়টি জানাতে হবে। প্রেসিডেন্ট জিয়া ও বিচারপতি আবদুস সাত্তার সাহেবের সাথে আমার যেভাবে পরিচয় ছিল বর্তমান নেতৃত্বের সাথে আমি সেভাবে জড়িত নই। ৫/৭ মিনিটের মধ্যে তাদের এই সাক্ষাৎ শেষ হলে বিচৌধুরী সাহেব ৮/১০ জন স্বেচ্ছাসেবীসহ স্টেডিয়ামের মঞ্চে ফিরে গেলেন। খান সাহেব হজুরকে নিয়ে শোলাকিয়ার মাহতাব ভাই বাইকে করে ডিসির বাংলো হয়ে বাসায় ফিরে আসেন।
লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, কলামিস্ট ও বিশ্লেষক


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ