শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২৩ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
নিবন্ধন পাচ্ছে আরও ১৬টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা চীনে বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন আমি নির্বাচিত হলে ফুলবাড়িগেট শিল্পাঞ্চলকে পুনরায় প্রাণবন্ত করে তুলবো:  মাওলানা আব্দুল আউয়াল জুলাই সনদ-গণভোট : এই মুহুর্তের চ্যালেঞ্জ বিনিয়োগ আনতে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশী ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন: নৌ উপদেষ্টা যুদ্ধবিরতিতে সম্মতির পরেও সুদানের রাজধানীতে আরএসএফের ড্রোন হামলা মসজিদে রাজনৈতিক কার্যক্রম: বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে আহত ১ ৮ ইউনিটের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে তুলার গুদামের আগুন  গাজায় সাহায্যপণ্য সরবরাহের ওপর ইসরাইলের বিধিনিষেধ আ.লীগ জনগণকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে সহিংসতা চালাতে চায়

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের সুযোগ শেষ, ফিরলো ‌‘না ভোট’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

উপদেষ্টা পরিষদের নীতিগত অনুমোদনের পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। ফলে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীকে জোটে গেলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে।

২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা ভোটে ১৫৪ জন নির্বাচিত হয়েছিলেন, এই ধরনের নির্বাচন যেন না হয়। অর্থাৎ যেই নির্বাচনে একজন প্রার্থী থাকবে সেখানে যারা ভোটার আছে তারা ‘না’ ভোট দিতে পারবেন। ‘না ভোট’ বেশি হলে ওই এলাকায় নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া কোনো প্রার্থী যদি মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করতে চান, তাহলে আপিলের নির্ধারিত সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিংবা আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাউকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যাবে না। এমন বিধান রেখে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ জারি করেছে সরকার।

সোমবার রাতে আইন মন্ত্রণালয় লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব (আরপিও) অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এ অধ্যাদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি। এর আগে অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, যাচাই-বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর যদি কোনো নির্বাচনি এলাকায় কেবল একজন প্রার্থী অবশিষ্ট থাকেন, তাহলে ওই প্রার্থী ও ‘না ভোট’-এর মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যদি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ‘না ভোট’-এর চেয়ে বেশি হয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন। তবে ‘না ভোট’ বেশি হলে উক্ত এলাকায় নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আরও বলা হয়েছে, যদি প্রথম নির্বাচনে ‘না ভোট’ বেশি হয় এবং পরবর্তী নির্বাচনে আবারও একজন প্রার্থী বৈধভাবে মনোনীত থাকেন, তাহলে রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন। তবে কোনো প্রার্থী যদি মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করতে চান, তাহলে আপিলের নির্ধারিত সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিংবা আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাউকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যাবে না।

এদিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগে সর্বোচ্চ কোনো কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করতে পারতো। তবে এবার অনিয়ম হলে ইসি পুরো নির্বাচনি এলাকার ফলাফল বাতিল করতে পারবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমন বিধান রেখেই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করেছে সরকার।

অনুচ্ছেদ ৯১ এ বলা হয়েছে, অনিয়মের জন্য কেন্দ্রের ভোট বাতিলের পাশাপাশি প্রয়োজন হলে পুরো নির্বাচনি এলাকার ফল বাতিলের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ইসিকে। আচরণবিধি লঙ্ঘনে সর্বোচ্চ ছয় মাসের দণ্ডের পাশাপাশি সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। দলের ক্ষেত্রেও জরিমানার বিধান রয়েছে।

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ