আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরাপদভাবে সম্পন্ন করতে দেড় লাখেরও বেশি পুলিশ সদস্যকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কাজী জিয়া উদ্দিন বলেন, “অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা দেড় লাখ বা তারও বেশি পুলিশ সদস্যকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রশিক্ষণ দেব।”
তিনি জানান, পুলিশ সদর দপ্তরের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের উদ্যোগে গত তিন মাসে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবীদের পরামর্শে নয়টি প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি করা হয়েছে। এসব মডিউল নির্বাচনকালীন যেকোনো ধরনের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়ক হবে।
বাংলাদেশ পুলিশের ১৩০টি ছোট এবং চারটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন হবে। নির্বাচনী প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে দুটি প্রামাণ্যচিত্র, একটি ১৫ মিনিটের অডিও-ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, একটি ৯ মিনিটের ফিল্ম ও একটি বুকলেট প্রস্তুত করা হয়েছে।
গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর পুলিশ সদর দপ্তরে প্রথম পর্যায়ে ১৫০ জন মাস্টার ট্রেইনারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই দেশের ১৯টি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আরও ১,২৯২ জন মাস্টার ট্রেইনার বা ‘ট্রেইনার অব ট্রেইনার্স (টিওটি)’ তৈরি করা হবে। এরাই পরবর্তীতে দেড় লাখেরও বেশি পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেবেন।
ডিআইজি জিয়া জানান, প্রশিক্ষণে বাস্তবমুখী মহড়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে, যাতে নির্বাচনের সময় সম্ভাব্য পরিস্থিতি সফলভাবে সামাল দেওয়া যায়। নির্বাচনকালীন সর্বাত্মক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে অনুষ্ঠিত হবে।
এমএইচ/