সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার খুনিদের ভয়ে কোনো আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যেতে পারি না

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে সরকারের নতুন পরিকল্পনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সরকারি-বেসরকারি সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি কমানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। অতিরিক্ত ছুটির কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ঘাটতি হচ্ছে এমন ধারণা থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বর্তমানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছরে গড়ে ৭৬ দিন ছুটি দেওয়া হয়। সরকার এই ছুটি কমিয়ে ৫৬ থেকে ৬০ দিনে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে আপাতত শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বহাল থাকবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
 
যৌথসভায় আলোচনায় ছুটি কমানোর বিষয়

সম্প্রতি দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক যৌথসভায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি কমানোর বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আলোচনা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব দেওয়া হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এখনো চূড়ান্ত মত দেয়নি। বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং সিদ্ধান্ত নিতে সব দপ্তরের মতামত নেওয়া হবে।

তবে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বছর ছুটি কমানোর কোনো সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে না। ২০২৬ সালের শিক্ষাপঞ্জি প্রণয়নের সময় থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি কমানোর এই পরিবর্তন কার্যকর হতে পারে। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্কুলে ৭৬ দিন এবং কলেজে ৭১ দিনের ছুটি রয়েছে।

বর্তমানে ৭৬ দিনের বার্ষিক ছুটি ছাড়াও ৫২-৫৩ দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। এর বাইরেও নানা কারণে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, ফলে শিক্ষার্থীরা পাঠদানে ঘাটতির মুখে পড়ে। এতে করে তারা পরবর্তী শ্রেণিতে অপ্রস্তুত অবস্থায় উঠে যায়।

কর্মঘণ্টা বাড়ানোর ভাবনা
সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি কমানোর পাশাপাশি কর্মঘণ্টা বাড়ানোর বিষয়েও ভাবছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় দুই শিফটে পরিচালিত হয়, যেখানে শেখার সময় অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কর্মঘণ্টা বৃদ্ধির এই সুপারিশ করেছে সরকার গঠিত পরামর্শক কমিটি।

সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি কমিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে চায়। বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও, সব দপ্তরের মতামতের ভিত্তিতে ২০২৬ সাল থেকে নতুন শিক্ষাপঞ্জিতে এই পরিবর্তন আনা হতে পারে। অতিরিক্ত ছুটি ও হঠাৎ বন্ধের কারণে পাঠদানে যে ঘাটতি তৈরি হয়, তা দূর করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। 

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ