সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৭ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
শাপলা গণহত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে হাইআতুল উলয়ার প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ লাল কেল্লার মালিকানা চেয়ে মোগল সম্রাটের ‘বংশধরের’ দাবি খারিজ ‘জুলাই অভ্যুত্থানের সেনানীদের ভীত-সন্ত্রস্ত করার হীন অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে’ শাপলায় শহীদদের স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশের দাবি ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক আজ ৫ই মে ঐতিহাসিক গণহত্যা দিবস: আমাদের চোখ খুলবে কবে? স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ ‘২৫ মার্চের কালরাতকেও হার মানিয়েছে শাপলা চত্বরের গণহত্যা’ কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

আসুন, শাপলা হত্যার বিচার দাবিতে সোচ্চার হই


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগ্রহিত

মনির আহমাদ

আজ ৫ মে— ইতিহাসের এক কালো দিন। ২০১৩ সালের এই দিনে ঈমান ও আকিদাভিত্তিক শান্তিপূর্ণ দাবিতে শাপলা চত্বরে অবস্থানকারী হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের লাখ লাখ তাওহিদি জনতার ওপর বর্বর হামলা চালিয়ে ইতিহাসের এক নৃশংসতম গণহত্যা চালায় তৎকালীন ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার সরকার।

এতে শহীদ হলেন- শত শত মাদরাসার ছাত্র, আলেম-ওলামা ও সাধারণ মানুষ। কেউ জানে না কত লাশ গুম করা হলো, কত মায়ের কোল খালি হলো, কত পরিবার আজো অপেক্ষায় দিন গুণছেন প্রিয়জনের ফিরে আসার।

এই হৃদয়বিদারক ঘটনার পর কেবল রক্তপাতেই শেষ হয়নি— সারাদেশে হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শত শত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে আরও একধাপ দমন-পীড়ন চালানো হয়।

আজ দীর্ঘ ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই নির্মম গণহত্যার কোনো সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি, হয়নি দায়ীদের বিচার। অথচ প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার অন্যান্য দুঃশাসনের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশন ও বিচারিক উদ্যোগ গ্রহণ করলেও, শাপলা গণহত্যা ও হেফাজতের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলাগুলোর বিষয়ে এখনো কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।

প্রশ্ন জাগে, শেখ হাসিনার দুঃশাসনের অন্যান্য অপরাধের বিচার হচ্ছে, তাহলে শাপলার শহীদদের রক্তের কী হবে? আলেম-ওলামা কি এই জাতির সন্তান নয়? ইসলামপন্থীদের কি ন্যায্যবিচার পাওয়ার অধিকার নেই?

এই ন্যায্য দাবি পূরণ না হলে জাতি ভাবতে শুরু করবে, আলেম-উলামা ও ইসলামপন্থীদের সাথে বর্তমান সরকারও বৈষম্যমূলক আচরণ করছে।

এ পর্যায়ে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি:

হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

শাপলা চত্বর গণহত্যার একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে দায়ীদের চিহ্নিত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রকাশ এবং পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিতে হবে।

প্রয়োজনে এই দায়িত্ব আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওপর ন্যস্ত করতে হবে।

আজকের এই স্মৃতিবহ দিনে আমরা সবাই সোচ্চার হই। ন্যায়ের পক্ষে ও শহীদদের রক্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে — আসুন শপথ করি, আমরা ন্যায়বিচার আদায় না হওয়া পর্যন্ত থামবো না।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, মাসিক মুঈনুল ইসলাম

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ