সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৭ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কাদিয়ানিদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করুন: সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত পরিষদ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মরক্কোতে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ দাওয়াত ও তাবলিগের নীরব বিপ্লব ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলো যুক্তরাজ্য-কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া গ্রেপ্তার এড়াতে বাস পাল্টায়, গন্ধে ১৪ কেজি গাঁজাসহ ধরা খেল তরুণী দুপুরের মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সত্তর হাজার কালেমা পড়লে কি মাগফিরাত পাওয়া যায়? ঢাবির হল রিডিংরুমে বসছে এসি, সংস্কার হবে ক্যান্টিনও: ডাকসু জিএস ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা মাদরাসা ছাত্রী, অভিযুক্ত জামায়াতকর্মী গ্রেপ্তার. ইসলামকে একটি বার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ শায়খে চরমোনাইয়ের

নারী-পুরুষের জীবনব্যবস্থায় স্রষ্টার নির্ধারিত নীতিমালা অপরিহার্য


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেছেন, মহিলা ও পুরুষ— সকল মানুষের স্রষ্টা হলেন মহান আল্লাহ তায়ালা। তিনি আমাদের জন্য যে জীবনবিধান নির্ধারণ করেছেন, একজন সত্যিকারের মুসলমান হিসেবে আমাদের সে বিধান মেনে চলা অপরিহার্য। যে ব্যক্তি এ বিধানের উপর চলে, সে মুসলমান; আর যে ব্যক্তি তা অমান্য করে, সে ইসলামবিরোধী, কাফের।

শনিবার (৩ মে) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মহাসমাবেশে মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক এসব কথা বলেছেন। 

তিনি আরো বলেছেন, আমাদের দেশের সরকার ‘নারী উন্নয়ন’ নামে একটি কমিশন গঠন করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই কমিশনে কাদের জায়গা দেওয়া হলো? দেশ কি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, এখানে চরিত্রবান, শিক্ষিত, সভ্য এবং প্রজ্ঞাবান কোনো মুসলিম নারী নেই? তাহলে কেন এমন নারীদের বাছাই করা হলো, যাদের চরিত্র নিয়ে জনগণের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে?

তিনি স্পষ্ট ভাষায় হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন- এ দেশ কোনো হিন্দু কিংবা খ্রিস্টান রাষ্ট্র নয়। নারীদের জন্য এমন কোনো আইন বা নীতি তৈরি করার অধিকার কারও নেই, যা আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত বিধানের পরিপন্থী। স্রষ্টার আইন অস্বীকার করলে কেউ মুসলমান থাকতে পারে না। যারা ইসলামী বিধানের বিরোধিতা করে, তারা সরাসরি কাফের ও মুরতাদ হিসেবে গণ্য হবে।

মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেছেন, আমরা এমন কোনো ব্যক্তিকে দেশের শাসনব্যবস্থায় দেখতে চাই না, যারা কুফরি ও নাস্তিক্যবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়। দেশের স্বাধীনতা, ইসলাম ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা সদা প্রস্তুত এবং সোচ্চার।

আমরা আবারো বলছি, এ দেশ মুসলমানদের। এই দেশের জনগণ ধর্ম ও দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেবে না। প্রয়োজনে সবাই একসাথে দেশ ও ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো, ইনশাআল্লাহ। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ইসলাম রক্ষায় আমরা শেষ পর্যন্ত অটল থাকব। যারাই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের রুখে দিবো, ইনশাআল্লাহ।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ