বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
হজ চুক্তি সই করতে সৌদি আরব যাচ্ছেন ধর্ম উপদেষ্টা জোটে ভোট কাটে রাজনীতির ঠোঁট ভারতের প্রেসক্রিপশনে আন্দোলন সফল হতে দেবে না জনগণ: মাওলানা ইউসুফী ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রতিটি স্কুল-কলেজে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা করব’ বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন

ফেসবুকে মাওলানা আবু তাহের মিসবাহর অসুস্থতার খবর, যা বলছে পরিবার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

|| হাবিব মুহাম্মাদ ||

আজ হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গবেষক ও শিক্ষাবিদ আলেমেদ্বীন, মাদানী নেসাবের প্রবর্তক মাওলানা আবু তাহের মিসবাহর প্রচণ্ড অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ে। বলা হয় তিনি আজ হঠাৎ করে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সেজন্য পোস্টগুলোতে দোয়াও চাওয়া হয়।

তার অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আওয়ার ইসলামের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় মাওলানা আবু তাহের মিসবাহর বড় জামাতা মাওলানা হাবিবুর রহমান মুনির নদভীর সঙ্গে। 

তিনি আওয়ার ইসলামকে জানান, হুজুরের হার্টে রিং বসানোর পর থেকে মাঝে মাঝেই অসুস্থতাবোধ করেন। কঠোর পরিশ্রমী হওয়ার কারণে সুস্বাস্থ্যের নীতিমালা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। ফলে প্রায়ই ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এছাড়া মাঝে মাঝে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা দেখা দেয়। তবে সম্প্রতি তার বড় ধরনের তেমন কোনো অসুস্থতা দেখা দেয়নি। তিনি অন্যান্য সময়ের মতোই স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছেন। 

প্রসঙ্গত, আদিব হুজুর খ্যাত মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ একজন নিভৃতচারী আলেম। একাধারে তিনি শিক্ষক, লেখক, গবেষক, সাহিত্যিক। মাদানি নেসাবের (একটি স্বতন্ত্র শিক্ষা কারুকুলাম) প্রবর্তকও তিনি। বর্তমান ওলামা ও তলাবাদের অনেকের কাছে তিনি কিংবদন্তি। সাহিত্য ও গবেষণাধর্মী অসংখ্য বই তিনি রচনা করেছেন।

মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ ১৯৫৬ সালের ৬ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মিছবাহুল হক। পৈতৃক বাড়ি কুমিল্লায় হলেও তিনি বড় হন ঢাকায়। জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ, জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ায় পড়ার পর ১৯৭৭ সালে তিনি আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সমাপ্ত করেন। জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়ায় শিক্ষক হিসেবে তার কর্মজীবনের সূচনা হয়। পরবর্তীতে তিনি জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ায় প্রায় ২৫ বছর শিক্ষকতা করেন। তখন থেকে তিনি মাদানি নেসাবের জন্য পরীক্ষামূলক পাঠ্যবই রচনা শুরু করেন। ১৯৯২ সালে তার চিন্তাধারার আলোকে আবদুল হাই পাহাড়পুরীর তত্ত্বাবধানে তিনি মাদরাসাতুল মদিনা প্রতিষ্ঠা করেন।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ