মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৮ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জুলাই আন্দোলনের অগ্রসেনানী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ খুলনায় হাতপাখার সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির জরুরি বৈঠক সার্বিক উন্নয়ন ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই: হাফিজ ফখরুল ইসলাম ফরিদপুরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর প্রচারণার গেট ও ব্যানার ভাঙচুর  জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরেই গণভোট দিতে হবে: এ টি এম মাছুম জামায়াত আমিরের আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যিনি খালেদা জিয়াসহ ৯ নারী পেলেন বিএনপির মনোনয়ন ২৩৭ আসনে বিএনপির ধানের শীষ পেলেন যারা নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলায় মতিউর রহমান আকন্দ নিন্দা বস্ত্রহীন ঘুমানোর হুকুম কী ?

এক সপ্তাহে ১৩ মিলিয়ন মুসল্লির জেয়ারত মক্কা–মদিনায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গত এক সপ্তাহে ১৩ মিলিয়ন (১ কোটি ৩০ লাখ) এর বেশি মানুষ মক্কার মসজিদুল হারাম বা কাবা শরিফ এবং মদিনার মসজিদে নববী জেয়ারত করেছেন। ভিড় নিয়ন্ত্রণে এখন অত্যাধুনিক সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে পুণ্যার্থীদের ভ্রমণ আরো নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল হয়েছে বলে জানা গেছে।

সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মসজিদ এবং নবীজির মসজিদের প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৪৪৭ হিজরি সনের রবিউস সানি মাসের ১১ থেকে ১৭ তারিখ (৩ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর, ২০২৫) পর্যন্ত ইসলামের পবিত্র দুই স্থানে মোট ১৩,০২৯,৪৭১ জন মুসল্লি ও দর্শনার্থী এসেছেন।

ওমরাহ পালনকারী পুণ্যার্থীর সংখ্যা ছিল ২,৮৮৭,৫১৬ জন। এতে বোঝা যায়, হজের মৌসুম না হলেও বিপুল পরিমাণে ওমরা পালনকারী মক্কায় অবস্থান করছেন।

মক্কার মসজিদুল হারাম, যেখানে কাবা ঘর অবস্থিত এবং যাকে বাইতুল্লাহ বা আল্লাহর ঘর বলা হয়,  এখানে এই সময়ে ৪,১৯৭,০৫৫ জন মুসল্লি নামাজ পড়েছেন। এর মধ্যে ২২,৭৮৬ জন আল-হাতিম এলাকায় নামাজ আদায় করেছেন।

ওমরাহ পালনকারী পুণ্যার্থীর সংখ্যা ছিল ২,৮৮৭,৫১৬ জন। এতে বোঝা যায়, হজের মৌসুম না হলেও বিপুল পরিমাণে ওমরাহ পালনকারী মক্কায় অবস্থান করছেন।

একই সময়ে মদিনার মসজিদে নববীতে এসেছেন ৫,০৮৮,১৭৯ জন মুসল্লি। এর মধ্যে ৩৫৫,৫৩২ জন মহানবীর (সা.) পবিত্র রওজা শরিফ জিয়ারত করেছেন।

প্রধান প্রবেশপথে অত্যাধুনিক সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহার করে দর্শনার্থীর সংখ্যা নির্ভুলভাবে গণনা করা হয়। এই প্রযুক্তি ভিড়ের গতিবিধি এবং ঘনত্ব পর্যবেক্ষণ করে, যা কর্তৃপক্ষকে পুণ্যার্থীদের প্রবাহ সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।

এ ধরনের প্রযুক্তি ইসলামের পবিত্র দুই মসজিদে সেবার মান উন্নত করার জন্য চলমান প্রচেষ্টার একটি অংশ। এত বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী প্রমাণ করে যে, এই সময়ে কোনো বড় ধর্মীয় উৎসব না থাকলেও সৌদি আরবের পবিত্র স্থানগুলি বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

তথ্য অনুসারে, সারা বছর ধরে নামাজ, ওমরা এবং ধর্মীয় স্থানসমূহ পর্যটনের জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ এখানে আসছেন। ডিজিটাল পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা থাকায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ আরও সুচারুরূপে সম্পন্ন করা যায় এখন। সেন্সর নেটওয়ার্কগুলি তাৎক্ষণিক তথ্য সরবরাহ করে, যা বিশাল মসজিদ কমপ্লেক্সগুলিতে নিরাপত্তা, পরিচ্ছন্নতা এবং প্রশাসনিক কাজ সমন্বয়ে সহায়তা করে থাকে।

উল্লেখ্য, বছরের এই সময়টি, বিশেষ করে সপ্তাহটি ধর্মীয় পর্যটনের জন্য সাধারণত শান্ত সময় হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই ১৩ মিলিয়ন দর্শনার্থীর এই সংখ্যা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

এই তথ্য ইঙ্গিত দেয় যে, উন্নত সুযোগ-সুবিধা এবং সহজ প্রবেশাধিকারের কারণে মুসলিমরা এখন আর শুধু নির্দিষ্ট মৌসুমে নয়, বরং সারা বছরই পবিত্র স্থানগুলি পরিদর্শন করছেন।

সূত্র: দি ইসলামিক ইনফের্মেশন ডট কম

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ