মানুষ যুগে যুগে গোসলের সময় নির্ধারণ করেছে নানা সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কারণে। কোথাও সকালে গোসলকে প্রার্থনার আগে আত্মশুদ্ধির প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, আবার কোথাও সন্ধ্যার গোসল সামাজিক রীতি হিসেবে প্রচলিত। বর্তমানে অনেকেই ঘুমের মান বাড়াতে রাতে গোসলকে অগ্রাধিকার দেন। তবে দিনের শুরুতে কুসুম গরম পানিতে একবার গোসল শরীর ও মন উভয়ের জন্যই উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক সকালে গোসল করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা।
ত্বক পরিষ্কার ও সতেজ রাখে
রাতের ঘুমে ত্বকে ঘাম, মৃত কোষ ও ব্যাকটেরিয়া জমে থাকতে পারে। সকালে গোসল করলে এসব ময়লা দূর হয় এবং ত্বক হয় পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর।
সতেজতা ও উদ্যম বৃদ্ধি করে
সকালের গোসল ঘুমের ঘোর দূর করে শরীর ও মনকে সতেজ করে তোলে। এটি সারাদিনের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি ও উদ্দীপনা জোগায়।
রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে
ঠান্ডা বা কুসুম গরম পানিতে গোসল রক্তনালীগুলোকে সক্রিয় করে, ফলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
নিয়মিত সকালে গোসল করার অভ্যাস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়
সকালে গোসল মানসিক চাপ, ক্লান্তি ও উদ্বেগ হ্রাস করে। এতে মন ভালো থাকে এবং সারাদিনের মানসিক ভারসাম্য বজায় থাকে।
মনোযোগ ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে
সকালের গোসল মানসিক প্রশান্তি এনে মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে, যা সৃজনশীল কাজের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
পেশীকে শিথিল করে
কুসুম গরম পানিতে গোসল পেশী শিথিল করে ও ব্যথা কমায়। এটি বিশেষ করে সকালে শরীরচর্চা বা কাজের প্রস্তুতির আগে উপকার দেয়।
টাইম ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, “একটি উষ্ণ গোসল শরীরে উষ্ণতার সংকেত পাঠায়, ফলে কোর থেকে ত্বকে উষ্ণ রক্ত প্রবাহিত হয়। এতে অতিরিক্ত তাপ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, ঠান্ডা ও আরাম অনুভূত হয় এবং শরীর তার স্বাভাবিক সার্কাডিয়ান ছন্দের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে পারে।”
এনএইচ/