শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

মসজিদে রাত্রিযাপন অবস্থায় গোসল ফরজ হলে, কাপড় বিছিয়ে তার উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে বের হতে হবে কি?


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

মসজিদে ঘুমানো অবস্থায় যদি কারো গোসল ফরজ হয় তাহলে সে কী করবে? এক্ষেত্রে সমাজে অনেক ধরনের কথা প্রচলিত আছে, কেউ কেউ বলে, মসজিদে ঘুমানো অবস্থায় গোসল ফরজ হলে কোনো একটি কাপড় মসজিদের ফ্লোরে বিছিয়ে বিছিয়ে তার উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে মসজিদ থেকে বের হতে হবে। কেউ বলে, ঘুমানোর সময় সাথে মোজা রাখবে এবং গোসল ফরয হলে মোজা পরে মসজিদ থেকে বের হবে। তাদের ধারণা- এ অবস্থায় যেহেতু শরীর অপবিত্র থাকে তাই অপবিত্র শরীর মসজিদের ফ্লোরে লাগানো যাবে না। তাদের এ ধারণা ঠিক নয়। মসজিদে ঘুমানো অবস্থায় গোসল ফরয হলে কোনো কিছু বিছিয়ে তার উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে যেতে হবে না; স্বাভাবিকভাবে হেঁটে বের হতে পারবে। তবে মসজিদে যেন কোনো নাপাকী না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখবে এবং জাগ্রত হওয়ার পর মসজিদে অপেক্ষা করবে না; বরং দ্রুত মসজিদ থেকে বের হয়ে পবিত্র হবে।

ইবনে আবি নাজীহ রাহ. বলেন- আমি মসজিদে হারামে ঘুমালাম। আমার স্বপ্নদোষ হল। তখন আমি সাঈদ ইবনে জুবায়ের রাহ.-কে জানালে তিনি বললেন-   যাও, গোসল করে নাও। -মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, বর্ণনা ৪৯২৩

আর মসজিদে যেন কোনো নাপাকী না লাগে সেদিকে তো খেয়াল রাখতেই হবে; সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু গোসল ফরয হওয়ার কারণে মসজিদের মেঝের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে পারবে না- এটি নিছক একটি ভুল ধারণা। পায়ে নাপাকী লেগে না থাকলে হেঁটে যেতে সমস্যার কিছু নেই। একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মসজিদে ইতিকাফ অবস্থায়) আয়েশা রা.-কে বললেন, ‘খুমরা’টা (ছোট জায়নামাজ বিশেষ) দাও। তখন তিনি বললেন, আমি তো হায়েজ অবস্থায় আছি। (অর্থাৎ আমি তো অপবিত্র; এ অবস্থায় কীভাবে এটা দিব?)। একথা শুনে নবীজী বললেন-   হায়েজের নাপাকী তো তোমার হাতে লেগে নেই! (দ্র. সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৯৮; শরহে মুসলিম, নববী) । সূত্র : মাসিক আল কাউসার।

এম আই/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ