বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ।। ৫ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

আসামে মুসলিম উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য আসামে মুসলিমদের টার্গেট করে উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রেখেছে উগ্রবাদী বিজেপি সরকার। আসামের বিশ্বনাথ জেলায় গত রোববার থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে ৩০৯টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইর খবর অনুসারে, উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই বাংলাভাষী মুসলিম। 

বিশ্বনাথের জাপারিগুড়ির ভিলেজ গ্রেজিং রিজার্ভের (ভিজিআর) প্রায় ১৭৫ বিঘা জমি বেআইনিভাবে দখল করা হয়েছিল বলে অভিযোগ সরকারি কর্মকর্তাদের। জেলা প্রশাসক সীমান্তকুমার দাস জানান, ৩০৯টি পরিবার ওই ১৭৫ বিঘা জমি দখল করে রেখেছিল। ১ আগস্ট তাদের নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল ১৫ দিনের মধ্যে এলাকা খালি করে দেওয়ার জন্য। রোববার শান্তিপূর্ণভাবেই গোটা প্রক্রিয়া চলেছে বলে দাবি জেলা শাসকের। 

আরেক কর্মকর্তা জানান, জমি দখল করে যারা ওই এলাকায় বাস করছিলেন, তাদের বেশির ভাগই বাংলাভাষী মুসলিম জনগোষ্ঠীর। রোববার বিশ্বনাথ জেলার ওই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন অল অসম মাইনরিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (এএএমএসইউ) সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আলি সরকার। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। সাধারণ মানুষকে অমানবিকভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। কুদ্দুসের দাবি, যথাযথ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না। 

এদিকে সরকারি জমির ওপর দখল উচ্ছেদে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপে সমর্থন জানিয়েছে বেশ কয়েকটি জাতিগত সংগঠন। তারা রাজ্যে ‘মিঞা খেদা আন্দোলন’ (মিয়াদের তাড়ানোর আন্দোলন) শুরু করেছে।  ‘মিঞা’ মূলত আসামের বাংলাভাষী মুসলমানদের জন্য ব্যবহৃত একটি অবমাননাকর শব্দ এবং অবাঙালি ভাষাভাষী লোকেরা সাধারণত তাদের বিদেশি অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সম্প্রদায়ের কর্মীরা এই শব্দটিকে অবাধ্যতার ইঙ্গিত হিসেবে গ্রহণ করতে শুরু করেছেন। স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন, ‘আগ্রাসন’ নিম্ন ও মধ্য আসামের জনসংখ্যার পরিবর্তন করেছে এবং উত্তর আসামেও এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। তিনি তাঁর বক্তব্যে স্পষ্টতই মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি ইঙ্গিত করেছিলেন।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ