মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬


‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল সংখ্যালঘু মুসলিমদের জন্য অন্ধকার অধ্যায়’


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

ভারতে সদ্য পাস হওয়া ওয়াকফ সংশোধনী বিলটিকে সংখ্যালঘু মুসলিমদের জন্য ‘অন্ধকার অধ্যায়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন জামায়াতে ইসলামি হিন্দ-এর সভাপতি সৈয়দ সাদাতুল্লাহ হুসাইনি। তিনি এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। 

এক বিবৃতিতে সৈয়দ সাদাতুল্লাহ হুসাইনি বলেন: ‘এই আইনটি পাস হওয়া অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং এটি আমাদের দেশের সংখ্যালঘু অধিকার নিয়ে একটি অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হবে। এটি ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সংবিধানিক অধিকারগুলোর ওপর সরাসরি আক্রমণ। এই আইন ওয়াকফ আইন ১৯৯৫-এ ব্যাপক পরিবর্তন আনছে, যা ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় সরকারের হস্তক্ষেপ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই আইন সংবিধানের ১৪, ২৫, ২৬ এবং ২৯ অনুচ্ছেদগুলোর লঙ্ঘন করছে এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিষয়গুলোতে অবিচারমূলক রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের পথ উন্মুক্ত করছে।’
জামায়াতে ইসলামি হিন্দ-এর সভাপতি বলেন, আমরা সংসদীয় আলোচনায় সরকার পক্ষের সদস্যদের পক্ষ থেকে উপস্থাপিত বিভ্রান্তিকর যুক্তি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। ওয়াকফ বোর্ডগুলো চ্যারিটি কমিশনার এর সমান নয়, যেভাবে লোকসভায় ভুলভাবে দাবি করা হয়েছে। বেশ কিছু রাজ্যে হিন্দু ও শিখ প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ আইন রয়েছে, যা নিশ্চিত করে যে নিয়ন্ত্রক ও তদারকি কর্তৃপক্ষ শুধু সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অধিকারভুক্ত।

সৈয়দ সাদাতুল্লাহ হুসাইনি বলেন, সরকার বারবার ওয়াকফ সম্পত্তির অপব্যবহার, আইনি বিতর্ক এবং অবৈধ দখলের কারণ হিসেবে এই সংশোধনীর কথা বলছে। কিন্তু এই আইনে এই সমস্যা সমাধানের জন্য কোনো নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেই। বরং, অমুসলিম সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা এবং সরকারের নিয়োগকৃত কর্মকর্তাদের হাতে নিয়ন্ত্রণ প্রদান সমস্যার কোনো সমাধান দেবে না।
 
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে, অতীতে অপ্রয়োজনীয় রাজনৈতিক এবং ব্যুরোক্র্যাটিক হস্তক্ষেপই ওয়াকফ কার্যক্রমে দুর্নীতি এবং অপব্যবহারের মূল কারণ ছিল। জামায়াত মনে করে যে, ‘ওয়াকফ বাই ইউজার’ পরিবর্তন এবং নতুন ওয়াকফে বাধ্যতামূলক শর্ত আরোপ করা মুসলিম প্রতিষ্ঠানগুলোর শক্তি দুর্বল করার একটি সুদূরপ্রসারী প্রয়াস।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ