শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ।। ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৪ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
মুসলিম সমাজের দুর্ভাগ্য অনুসারীদের নিয়ে হেফাজতের মহাসমাবেশে থাকবেন মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী মদিনায় প্রথম বাংলাদেশি হাজির মৃত্যু আগামী সাত মাস বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : প্রেস সচিব হেফাজতের মহাসমাবেশে ছারছীনার পীরের সমর্থন মক্কায় বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির সতর্কতা, হজযাত্রীদের নিয়ে শঙ্কা হার্ভার্ডের ৯২ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন  যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু আলোচনা স্থগিত যারা পালিয়ে গেছে, তাদের এদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই: হাসনাত আবদুল্লাহ গাজায় কমপক্ষে ৩১ ফিলিস্তিনি শহীদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে ‘পরিস্থিতি বিপর্যয়কর’

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ চলছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

ভারতে শুরু হয়ে গেল লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোট। সোমবার (১৩ মে) এ পর্বে পশ্চিমবঙ্গসহ ১০ রাজ্য ও একটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ৯৬ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বীরভূম ও বোলপুর এ আট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৭টা থেকে। চলবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

পশ্চিমবঙ্গের ৮ লোকসভা আসন মিলিয়ে মোট বুথের সংখ্যা ১৪ হাজার ৯০১টি। এর মধ্যে ২ হাজার ৯২৪টি স্পর্শকাতর ও অতি স্পর্শকাতর ভোটকেন্দ্র রয়েছে। যার ফলে চতুর্থ ধাপেও এ আট কেন্দ্রে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে নারাজ নির্বাচন কমিশন। কারণ গত নির্বাচনেও ভোট হিংসার ইতিহাস রয়েছে এসব আসনে। সেই ছবি যাতে পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেটা নিশ্চিত করতে আরও পোক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে নির্বাচন কমিশন।

যার জেরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আরও বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা। এ আট কেন্দ্রে সবমিলিয়ে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার আধা সামরিক সশস্ত্র সেনাবাহিনী। যার মধ্যে ভোটকেন্দ্রে রয়েছে ৪৬ হাজার সশস্ত্র বাহিনী। বাকি কুইক রেসপন্স টিম হিসেবে রাখা হবে। কোথাও কোনো অশান্তি দেখা দিলে মাঠে নামবে বাদ বাকি বাহিনী।

বুথের বাইরে রাখা হয়েছে আরও অতিরিক্ত ৩০ হাজারেরও বেশি রাজ্য পুলিশ। রাজ্য পুলিশের ভোটকেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি নেই। তারা বিভিন্ন কেন্দ্রের বাইরে থেকে আইনশৃঙ্খলা সামলা দেবেন। বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি চতুর্থ ধাপেও প্রতিটি বুথে রয়েছে ওয়েভ কাস্টিং ব্যবস্থা। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন কর্তারা অফিসে বসেই লক্ষ্য রাখতে পারবে বুথের পরিস্থিতির ওপর।

রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গ তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। এ আট আসনের মূল রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস। এছাড়া রয়েছে বহু স্বতন্ত্র প্রার্থী। সবমিলিয়ে বাংলার এ আট আসনে মোট ৭৫ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করছে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৮৩ হাজার ৬৯৫ জন।

এবারে কজন তারকা প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হচ্ছে। সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান তৃণমূলের টিকিটে বহরমপুর আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী তথা লোকসভা বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরীর বিপক্ষে। অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা আসানসোল আসন থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন। কৃষ্ণনগর আসনে তৃণমূলের টিকিটের প্রার্থী হয়েছেন মহুয়া মৈত্র ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র পরিবারের রাজমাতা অমৃতা রায়। বীরভূম আসন থেকে প্রার্থী অভিনেত্রী শতাব্দী রায় ও বর্ধমান-দুর্গাপুর আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। ওই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী কীর্তি আজাদ।

পশ্চিমবঙ্গের ৮ আসনের পাশাপাশি ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে ভারতের বিহার ৫, অন্ধ্রপ্রদেশ ২৫, তেলেঙ্গানা ১৭, উত্তরপ্রদেশের ১৩, মহারাষ্ট্রের ১১, মধ্যপ্রদেশ ৮, ঝাড়খন্ড ৪, ওড়িশা ৪ ও জম্বু-কাশ্মীরের এক আসন অর্থাৎ শ্রীনগরে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোটগ্রহণের জন্য মোট ১ লাখ ৯২ হাজার ভোটগ্রহণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সবমিলিয়ে এ পর্বে দেশটির ১ হাজার ৭১৭ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হচ্ছে।

চতুর্থ ধাপেও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। যেমন উত্তরপ্রদেশের কনৌজ আসনে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, বিহারের বেগুসরাই আসনে বিজেপি প্রার্থী গিরিরাজ সিংহ, অন্ধ্রপ্রদেশের কড়পা আসনে কংগ্রেসের ওয়াই এস শর্মিলা, ঝাড়খন্ডের খুন্তি আসনে বিজেপির অর্জুন মুণ্ডা, জম্মু-কাশ্মীর আসনে রাজ্যটির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রার্থী ওমর আব্দুল্লাহ, তেলেঙ্গানার হায়দ্রাবাদ আসনে বিজেপি প্রার্থী বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী মাধবী লতা। ওই কেন্দ্র থেকে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি প্রমুখ।

এর আগে ৫৪৩ আসনের মধ্যে তিন ধাপের ভোটে মোট ২৮৩টি আসনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম তিন ধাপে বিক্ষিপ্ত দুয়েকটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই মিটেছে নির্বাচন হয়েছে। সাত দফার লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপ ভোট হবে আগামী ২০ মে। ষষ্ঠ ও সপ্তম দফার ভোট হবে যথাক্রমে ২৫ মে ও ১ জুন। একযোগে ফলাফল প্রকাশ হবে আগামী ৪ জুন


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ