বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জোটে ভোট কাটে রাজনীতির ঠোঁট ভারতের প্রেসক্রিপশনে আন্দোলন সফল হতে দেবে না জনগণ: মাওলানা ইউসুফী ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রতিটি স্কুল-কলেজে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা করব’ বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে

খাড়গেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান মমতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি : সংগৃহীত

কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিজেপি-মোদি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ গঠিত হয়েছে। জোট গঠন হলেও সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে আসন বণ্টন সমঝোতা না থাকায় কোনো উপকার পায়নি ‘ইন্ডিয়া’। জোট গঠনের শুরু থেকেই আরেকটি প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছিল, সেটি হলো বিরোধীদের এই জোট জিতলে কাকে  প্রধানমন্ত্রী করবে? নির্বাচনে কাকে তারা প্রধানমন্ত্রী-মুখ হিসেবে জনতার কাছে তুলে ধরে ভোট চাইবে? জোটের প্রধান কে, কাকে প্রধানমন্ত্রী পদে তুলে ধরা হবে এসব প্রশ্ন বরাবরই সাবধানতার সঙ্গে এড়িয়ে গেছে ইন্ডিয়ার শীর্ষস্থানীয়রা। তবে মঙ্গলবার দিল্লিতে ইন্ডিয়ার চতুর্থ বৈঠকে জোটের প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসেবে কংগ্রেস সভাপতি খাড়গের নাম প্রস্তাব করে বসেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।   


সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানান আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল, বলেন দেশকে প্রথম দলিত প্রধানমন্ত্রী উপহার দেওয়ার সুযোগ এসেছে। তার সদ্ব্যবহার করা উচিত।

অবশ্য এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো আলোচনা হয়নি। কারণ খাড়গে নিজেই প্রধানমন্ত্রী নিয়ে আলোচনার আগে আসন্ন ভোটে জিতে আসাকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ, এ মন্তব্য করেছেন। তার মতে, বৃহত্তর লক্ষ্য হচ্ছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের জয়, এরপর গণতান্ত্রিকভাবে জোটের প্রধান নেতৃত্ব তথা প্রধানমন্ত্রী ঠিক করা যাবে। 

পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম এইসময়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবারের বৈঠকে মোট ২৮টি বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতারা অংশ নেন। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবে মত দিয়েছেন প্রায় সকলেই।

বিষয়টি নিয়েসংবাদমাধ্যমের সামনে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য জেতা। আমাদের চিন্তা কেবলমাত্র সেটা নিয়েই। আগে আমরা জেতার চেষ্টা করব। প্রথমে সবাইকে জিতে আসতে হবে। হাতে সংসদ সদস্যরা না থাকলে প্রধানমন্ত্রী হবে কী করে।'

এই বৈঠকের একটা বড় আকর্ষণ ছিল জোট শরিকদের মধ্যে আসন সমঝোতার জট ছাড়াতে কী প্রস্তাব গৃহীত হয় তা। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, মমতা প্রস্তাব করেন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই আসন ভাগাভাগির পাট চুকিয়ে ফেলা হোক। সেই প্রস্তাব সমর্থন করেন কেজরিওয়াল, অখিলেশ যাদব, উদ্ধব ঠাকরেরাও। এ বিষয়ে খাড়গে বলেন, আসন ভাগাভাগি নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে নেতারা প্রথম আলোচনা করবেন। কোথাও ঠেকে গেলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তার মীমাংসা করবেন। তিনি বলেন, ‘অনেক রাজ্যে আসন সমঝোতায় কোনো বাধা নেই। যেমন তামিলনাড়ু, কেরালা, বিহার, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, উত্তর প্রদেশ। এসব রাজ্যে কোনো সমস্যা হবে না। বাকি যেমন দিল্লি বা পাঞ্জাবে (পশ্চিমবঙ্গের নাম তিনি নেননি) কেমন বোঝাপড়া হবে, তা–ও পরে ঠিক হয়ে যাবে।’

বৈঠকে ভারতের পার্লামেন্ট থেকে বিরোধীদের গণহারে বরখাস্তের বিষয়টি গুরুত্ব দেন নেতারা। সংসদ থেকে বিরোধীদের বহিষ্কারসহ সরকারের যাবতীয় অগণতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে ২২ ডিসেম্বর সর্বভারতীয় স্তরে বিক্ষোভ সমাবেশ ঘোষণা করেছে ইন্ডিয়া জোট।

এনএ/ 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ