শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

লিবিয়ার বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়াল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত ছবি

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দারনা শহরে বাঁধভাঙা বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। এই সংখ্যা শেষ পর্যন্ত ২০ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শহরটির মেয়র। কারণ এখনো বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। সাগরের পানিতে ভেসে আসছে একের পর এক মরদেহ।

লিবীয় রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, গত রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দারনায় ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের আঘাতের পর দুটি বাঁধ ধসে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার ৩০০তে দাঁড়িয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা চলছে এবং কাঁদামাটির ভেতর থেকে একের পর এক মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

এই ঘটনায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ৪০০ জন বিদেশি রয়েছেন। এদের বেশিরভাগই সুদান এবং মিসরের নাগরিক বলে জানিয়েছেন লিবিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। লিবিয়ার এই বন্যায় মারা গেছেন ছয় বাংলাদেশিও। এ ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্যেও কিছু বাংলাদেশি থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দারনার মেয়র আবদুলমেনাম আল-গাইথির আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা শেষ পর্যন্ত ২০ হাজারে পৌঁছাতে পরে। কারণ বন্যায় শহরটির একটি অংশ পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

ভূমধ্যসাগর পাড়ের দারনা শহরটিতে প্রায় এক লাখ মানুষ বসবাস করতো। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বাঁধ ধসে গেলে অনেকটা সুনামির মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। এতে ভয়ংকর পানির স্রোত এসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় চলার পথের সব কিছু।

কর্মকর্তাদের ধারণা, বন্যায় অন্তত ৩০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এই পরিস্থিতির জন্য স্থানীয়দের অনেকেই অবকাঠামোর দুর্বল ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন। দেশটির সতর্কতা ব্যবস্থার সমালোচনা করেছে জাতিসংঘও।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রধান বলেছেন, বাসিন্দাদের সতর্ক করা গেলে এবং পালানোর সময় দেওয়া হলে বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা এড়ানো যেতো।

সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি

টিএ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ