শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

"কোরবানির পশুর ছবি শেয়ার: ইবাদত না রিয়া?"

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নাজমুল হাসান।

কোরবানির ঈদ মানেই ত্যাগ ও আত্মনিয়োগের শিক্ষা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই ত্যাগের চর্চা অনেকটাই ভিন্নরূপে প্রকাশ পাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। ঈদের আগে থেকেই শুরু হয় পশু কেনা, আর তার সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকে শুরু হয় ছবি ও ভিডিও শেয়ার করার ধুম।

বিশেষ করে দামি, সুসজ্জিত বা ব্যতিক্রমী কোরবানির পশুর ছবি ও ভিডিও ভাইরাল করতে মরিয়া হয়ে পড়েন অনেকেই। কেউ ক্যাপশনে লেখেন—“আলহামদুলিল্লাহ আমার কোরবানি”, কেউ আবার পশুর দামে চমকে দেন দর্শককে।

ধর্মীয় স্কলাররা বলছেন, এই প্রবণতা রিয়া বা লোক দেখানোর ঝুঁকি তৈরি করে। ইসলাম মতে, কোরবানি একটি পবিত্র ইবাদত, যার ভিত্তি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি। লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করলে সেই ইবাদতের মূল আত্মা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবিদরা বলেন, কোরবানির পশুর ছবি শেয়ার করা যদি অহংকার, প্রশংসা পাওয়ার মনোভাব বা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে হয়—তাহলে তা নিন্দনীয়। আর যদি হয় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বা নসিহতের উদ্দেশ্যে—তবুও উচিত হয় সংযম বজায় রাখা।

তাই ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোরবানির পশু নিয়ে ছবি শেয়ার করা সতর্কতার সঙ্গে করা উচিৎ। কারণ, ইবাদতের অন্তর নির্ভরতার বিষয়—তাতে লোক দেখানো প্রবেশ করলে ইবাদত আর ইবাদত থাকে না, হয়ে ওঠে আত্মপ্রদর্শনের এক মাধ্যম।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ