মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১১ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

২৮ দিনে হাফেজ ও ৭ মাসে বুখারী মুখস্থকারী এক প্রতিভাধরের গল্প

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| হাসান আল মাহমুদ ||

ইউসুফ। রামগঞ্জ উপজেলার ডোমনদী গ্রামের এক বালক। সবে কৈশোর পার করেছে। নিজ এলাকার আশরাফুল উলুম মাদ্রাসা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে নাগমুদ মাদ্রাসায় পড়ছে ৮ম শ্রেণিতে। এসময় এলাকার একজন আলেম ঢাকা সাভারের এক মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন। নাম তাঁর হাফেজ নুরুল্লাহ। তার হাত ধরেই ইউসুফের নবীনগর (সাভার) বাইপাল আলামীন মাদ্রাসায় এসে ভর্তি হওয়া কিতাব বিভাগে। এখানে তাইসীর (৫ম শ্রেণি) শেষ করে মিজান জামাত (৬ষ্ঠ শ্রেণি) শেষের দিকে থাকাবস্থায় হেফজ পড়ার ইচ্ছা জাগে। তখন হাফেজ নুরুল্লাহ সাহেবকে বিষয়টা জানালে তিনি বললেন, ‘আলেম হবার পরেও হিফজ পড়া যায়। তখন আরও সহজে হাফেজ হওয়া যায়।’ 

প্রিয় শিক্ষকের কথায় ইউসুফ একদিন ঠিকই হাফেজ হলেন। মাত্র ২৮ দিনে। ততক্ষণে নিজের নামের সাথে জুড়ালেন ‘মাওলানা’র টাইটেলও। রাজধানীর মোহাম্মদপুর জামেয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া থেকে ২০০৯-১০ সালে দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করেন। তারপর ২০১১ সালে পূবাইল (পিপুলিয়া) হাফেজিয়া মাদ্রাসা হতে মাত্র ২৮ দিনে কোরআনে হাফেজ হওয়ার বিরলর কৃতিত্ব অর্জন করেন।  

হিফজুল কুরআন শেষে ২০১১-১২ সালে ইফতাও সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর ২০১৩ সালে মাত্র ৭ মাসে ফাজায়েলে আমল এর বাংলা অনুবাদকারী (খিলগাঁও-তালতলা) নূরবাগের মুফতি মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ সাহেবের খানকা শরীফ থেকে বোখারী শরীফ মুখস্ত করেন।

এই বিরল কৃতিত্ব অর্জন করা কিভাবে সম্ভব হয়েছে? এমন প্রশ্নে মুফতি ইউসুফ আওয়ার ইসলামকে জানান, ‘সবকিছু আল্লাহর অপার কৃপা। আল্লাহ চেয়েছেন বিধায় সম্ভব হয়েছে।’

কুরআন মুখস্থ করার সুরত বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথম দুই দিন দেড় পারা করে সবক দিয়েছি। তারপর ১ পারা করে সবক দিয়েছি। রাাতে মুখস্থ করে ফজরের আগে আধা পারা ও জোহরের আগে আধা পারা করে মুখস্থ শোনাতাম।’

মুফতি ইউসুফ জানান, যখন আমি কাফিয়া জামাতে পড়ছিলাম, তখন দৈনিক ১৫ পারা করে তিলাওয়াত করতাম। এছাড়া, জালালাইন জামাতে থাকাবস্থায় পুরো বছর জালালাইন শরীফের ইবারত ও তরজমা পড়েছি উস্তাদের সামনে।  

হাফেজ মাওলানা মুফতি ইউসুফ ছাত্র জীবন শেষে ৬ বছর কাশেমপুর জামেয়া কাশেমিয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বোখারী শরীফের (দরস) পাঠদান অধ্যাপনা করেন। ২০২২ সালে উত্তরা দিয়াবাড়ী জামেয়া রহীমিয়া আরাবিয়া প্রতিষ্ঠা করে অদ্যাবদি সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করছেন এবং বিগত ৩ বছর যাবত কুতুবে ছিত্তাসহ হাদীসের সবগুলো কিতাব একসাথে দরস দিয়ে আসছেন।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ