মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১১ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

রোজাদারদের মাঝে মাদানী মজলিস বাংলাদেশের ইফতার বিতরণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মাদানী মজলিস বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনায় এবং শায়খ মুফতী হাফীজুদ্দীন-এর নির্দেশনায় সর্বস্তরের রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

রবিবার, ১৬ মার্চ রাজধানীর মালিবাগ শহীদি মসজিদ এবং রামপুরা ওয়াপদা রোড এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন শ্রমিক ও সর্বস্তরের রোজাদার যাত্রীদের মাঝে এ ইফতার বিতরণ করা হয়। এতে মালিবাগ শহীদি মসজিদ এলাকায় দুইশ এবং রামপুরা ওয়াপদা রোড এলাকায় আরও দুইশ-মোট প্রায় চার শতাধিক ইফতার প্যাকেট বিতরণ করা হয়।

এসময় ইফতার বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন মালিবাগ শহীদি মসজিদের স্বনামধন্য ইমাম ও খতীব হযরত মাওলানা সাইফুল্লাহ, মাওলানা নাজমুল হাসান, মাওলানা হানযালা, দ্বীনি ভাই জনাব মোহাম্মদ নূর ইসলাম সহ  মাদানী মজলিস বাংলাদেশ-এর অন্যান্য উদ্যমী কর্মীবৃন্দ।

ইফতার বিতরণ কার্যক্রম সম্পর্কে শায়খ মুফতী হাফীজুদ্দীন বলেন, রমজানে ইফতারের ঠিক পূর্বমুহূর্তে অনেক রোজাদার ভাই যানজট বা বিভিন্ন কারণে ইফতারের সময় ঘরে পৌঁছতে পারেন না। ফলে ইফতারের গুরুত্বপূর্ণ আমল থেকে বঞ্চিত হন এবং অনেক সময় সামান্য খেজুর বা পানি দিয়েও রোজা ভাঙার সুযোগ পান না। তাদের এই কষ্ট লাঘব করতেই আমরা ব্যতিক্রমী এ ইফতার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, রোজাদারকে ইফতার করানো একটি মহৎ আমল।  কেননা "রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে, সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে এবং রোজাদারের সওয়াবের সমপরিমাণ সওয়াব সে লাভ করবে।"

সে উদ্দেশ্যেই আমরা আজকের এই আয়োজন করেছি। আমরা চাই, এই উদ্যোগ শুধু একদিনের জন্য না হয়ে ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকুক। ভবিষ্যতেও নিজ সাধ্য ও সামর্থ্য অনুযায়ী এই বরকতময় আমলটি অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো, ইনশাআল্লাহ।

তাছাড়া এ ধরণের মানবিক উদ্যোগ শুধু রোজাদারদের ইফতার নিশ্চিত করাই নয়, বরং সমাজে সহমর্মিতা ও ভালোবাসার পরিবেশ সৃষ্টি করে। একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও সহযোগিতার এই চর্চা আমাদের ব্যক্তি, সমাজ ও জাতি হিসেবে আরও ঘনিষ্ঠ করে তোলে।

এ ধরনের মহৎ কার্যক্রম আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলেও জানান মুফতী হাফীজুদ্দীন। 

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ