চারটি শর্তে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দুই ধাপে এসব মাদরাসা এমপিওভুক্ত করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মীর তায়েফা সিদ্দিকার স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
ইবতেদায়ি মাদরাসা এমপিওভুক্তির জন্য যেসব শর্ত—
১. প্রথম পর্যায়ে যেসব ইবতেদায়ি মাদরাসা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা স্থাপন, স্বীকৃতি, পরিচালনা, জনবল কাঠামো এবং বেতন-ভাতাদি/অনুদান সংক্রান্ত নীতিমালা, ২০১৮ এর সকল শর্তপূরণ করেছে তাদের এমপিওভুক্ত করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকদের বিস্তারিত প্রতিবেদন গ্রহণ করতে হবে।
২. দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০১৮ সালের নীতিমালার শর্তপূরণ সাপেক্ষে জেলা প্রশাসকদের বিস্তারিত প্রতিবেদন গ্রহণ করে অবশিষ্ট মাদরাসাসমূহকে ক্রমান্বয়ে এমপিওভুক্ত করতে হবে।
৩. এমপিওভুক্ত মাদরাসা ও শিক্ষকদের সংখ্যা চূড়ান্তকরণের পূর্বে অর্থ বিভাগের সম্মতি গ্রহণ করতে হবে।
৪. এমপিওভুক্তকরণের পর সংশ্লিষ্ট মাদরাসার অনুদানভুক্তি বাতিল করতে হবে।
গত ২ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুদানভুক্ত ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের প্রক্রিয়া শুরুর ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে। তবুও ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা। দুপুরে তারা যমুনা অভিমুখে লংমার্চ শুরু করলে পুলিশি বাধার মুখোমুখি পড়েন। বিকেলে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে আলোচনার জন্য যান। সেখানে গিয়ে আশ্বাসের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারেন তারা।
তবে এতে অসন্তোষ জানিয়েছেন অনুদানবিহীন মাদরাসার শিক্ষকরা। অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন সব ইবতেদায়ি মাদরাসাকে জাতীয়করণের আওতায় না নিয়ে আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইবতেদায়ি শিক্ষক নেতারা।
এনএইচ/