মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭


আইনি জটিলতা পেরিয়ে কারাগারেই সম্পন্ন হলো বিয়ে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ভালোবেসে গোপনে আকলিমাকে (২২) বিয়ে করেন একই বাড়ির মো. হাসনাত (২১)। সম্পর্কে তারা উভয়ে মামাতো-ফুফাতো ভাইবোন। কিন্তু এ সময় কোনো কাবিননামা হয়নি তাদের। এ বিয়ে নিয়ে শুরু হয় উভয় পরিবারে দ্বন্দ্ব। এরই মাঝে তাদের ঘরে জন্ম নেয় এক সন্তান। উভয় পরিরবারের দ্বন্দ্ব শেষ পর্যন্ত আদালতে মামলায় গড়ায়। আদালতের নির্দেশে স্বামী মো. হাসনাতকে কারাগারে পাঠানো করা হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত কারাগারেই রয়েছেন তিনি।

এদিকে উভয় পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্বের মীমাংসা হয়। রোববার (১৩ অক্টোবর) এর ফলে আদালতের নির্দেশে চাঁদপুর জেলা কারাগারে মো. হাসনাত ও আকলিমার আনুষ্ঠানিক বিয়ে এবং কাবিননামা সম্পন্ন হয়।

জানা গেছে, হাজীগঞ্জের দ্বাদশ গ্রামের আকতার হোসেনের ছেলে মো. হাসনাত এবং একই বাড়ির বাকপ্রতিবন্ধী আকলিমা মো. মাসুদের মেয়ে। উভয় পরিবারের দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে আকলিমার বাবা ২০২৪ সালের ২৪ জুন চাঁদপুর আদালতে মামলা করেন। আটকের দুদিন পর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ২৬ জুন আদালত হাসনাতকে কারাগারে প্রেরণ করেন। সেই থেকে তিনি এখনো কারাগারে আটক আছেন। জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারকের আদেশে রোববার দুপুরে চাঁদপুর জেলা কারাগারে উভয়ের বিয়ে ও কাবিননামা সম্পন্ন হয়।

এদিকে বিয়ে ও কাবিননামায় স্বাক্ষরকালে বর ও কনেকে বেশ উৎফুল্ল দেখা যায় বলে উপস্থিত স্বজনরা জানিয়েছেন।

এদিন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের একজন প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার ও জেলা সমাজসেবা বিভাগের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ সময় বর ও কনে পক্ষের বাবা নিকটাত্মীয়রাসহ উভয়পক্ষের গণ্যমান্য এবং স্থানীয় মুরুব্বি আবুল বাশার মিজি উপস্থিত ছিলেন।

এদিন উপস্থিত বর এবং কনে পক্ষের স্বজনদের কারা কর্তৃপক্ষের সৌজন্যে মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় বলে জানান ওই কারাগারের জেলার মো. জুবাইর। তিনি আরও জানান, বিয়ের পর বর মো. হাসনাতের দ্রুত জামিন ও মামলাটি নিষ্পত্তিতে এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন উভয় পরিবারের স্বজনরা।

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ