শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জমিয়তের জাতীয় কাউন্সিলের ৭ নতুন প্রস্তাবনা ‘আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি ব্যতিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সংহতি বজায় রাখা সম্ভব নয়’ গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেপ্তার এবার যে ২০ ভাষায় অনুবাদ করা হবে হজের খুতবা সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ ৫ বছরের পক্ষেই জামায়াত স্বামীর টাকায় হজ করলে ফরজ আদায় হবে? ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ ৩০ ফিলিস্তিনি, নেই উদ্ধারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পেহেলগামে হামলার স্বচ্ছ তদন্তের জন্য পাকিস্তান প্রস্তুত: শাহবাজ শরীফ জমিয়তের সভাপতি আল্লামা ওবায়দুল্লাহ ফারুক মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি খেলাফত আন্দোলনের নতুন মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী

নামাজ পড়তে গিয়ে অটোরিকশা হারিয়ে কাঁদছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী আব্দুর রশিদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: গাজীপুরের শ্রীপুরে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে অটোরিকশা হারালেন আব্দুর রশিদ। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) মাওনা চৌরাস্তা পুকুর পাড় জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নামাজ পড়া শেষ করে বাইরে এসে অটোরিকশা না দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই রিকশা চালক।

জানা যায়, মসজিদের সামনে অটোরিকশাটি রেখে আসরের নামাজ পড়তে যান রশিদ। নামাজ শেষে এসে দেখেন অটোরিকশা নেই। এতে অসহায় হয়ে পড়েছেন আব্দুর রশিদ। আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় চুরি যাওয়া অটোরিকশার খোঁজ করছেন তিনি।

শারীরিক প্রতিবন্ধী আব্দুর রশিদ সুনামগঞ্জের ছাতক থানার পুরান নোয়াকোট গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে। তিনি তিন মাস আগে পরিবার নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর শহরের তাজুর বাড়ি ভাড়া নেন। সেখানে থেকে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

আব্দুর রশিদ জানান, ছোট বয়সে নৌকায় নানার বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় নৌকার ইঞ্জিনে বাম পা হারান। সব সময় মানুষের কাছে ছোট হয়ে থাকতে হয়েছে। বাড়ির পাশে একটি চায়ের দোকান দেন, পাথর ভাঙার শ্রমিকরা মূলত তার কাস্টমার ছিল। এক সময় পাথর ভাঙা বন্ধ হয়ে বিপাকে পড়তে হয় তাকে। পরে এলাকা ছেড়ে পরিবার নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে এসে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে ৯০ হাজার টাকায় একটি অটোরিকশা কেনেন। অটোরিকশা কেনার মাস তিনেকের মধ্যে ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেলে কর্মহীন হয়ে পড়েন। স্থানীয়দের পরামর্শে সাপ্তাহিক ১৫০০ টাকা কিস্তিতে আশা এনজিও থেকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে অটোরিকশার ব্যাটারি কিনে তা সচল করেন। অটোরিকশা চালাতে থাকেন।

তিনি বলেন, আমি সারাদিন অটেরিকশা চালালেও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি। অটোরিকশা চালাতে চালাতে যখন নামাজের সময় হয় আমি আশপাশের মসজিদে নামাজ আদায় করি। বৃহস্পতিবারও মসজিদের সামনে অটোরিকশা রেখে নামাজে গিয়েছিলাম। নামাজ শেষ করে এসে দেখি অটোরিকশাটি নেই। এই রিকশাটিই ছিল আমার আয়ের প্রধান উৎস।

ওই সময় একই মসজিদে নামাজ আদায় করছিলেন বুলবুল হাসান। তিনি বলেন, প্রায়ই তিনি এ মসজিদে নামাজ আদায় করেন। আমরা একসঙ্গে নামাজ আদায় করি। নামাজে এসে যে অটোরিকশা হারাতে হবে এটা মানা খুব কষ্টকর। বিত্তবানদের তার পাশে দাঁড়ানো উচিত।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ