বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

ক্যামেরুনে যেভাবে কষ্ট করে কুরআন শেখেন শিশুরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ক্যামেরুন আফ্রিকা মহাদেশের একটি দেশ। এই মহাদেশের মধ্যে শিক্ষার হার সবচেয়ে বেশি যে দেশগুলোতে তার মধ্যে ক্যামেরুন অন্যতম।

সংগ্রামী জীবনের পাশাপাশি কুরআন শিক্ষায়ও এ দেশের মুসলমানদের যথেষ্ট আগ্রহ। দেশটির একজন সাধারণ কিশোরী ফাতেমা। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি এলাকায় পরিবাবের সাথে তার বসবাস।

সে এখন (৩০ মে-২০২১) পবিত্র কুরআন হিফজ করছে। ক্যামেরুনে ফাতেমা ও তার সমবয়সী কিশোর-কিশোরীরা খুবই অভিনব পদ্ধতিতে কুরআনে কারিম হিফজ ও মুখস্থ করে। তাদের প্রত্যেকের হাতে একটি করে মারুলা কাঠের স্লেট বা তক্তা থাকে। আকৃতি ও মান অনুযায়ী এসব স্লেটের দাম নির্ধারিত হয়।

একটি স্লেটের সর্বোচ্চ দাম পড়ে স্থানীয় মুদ্রায় ৪০ সেন্ট বা চার মার্কিন ডলার। শিক্ষার্থী পবিত্র কুরআনের যে সূরা বা অংশটি মুখস্থ করতে চায় তাকে স্লেটে সে অংশ ও সূরাটি লিখে দেয়া হয় এবং স্লেট দেখে দেখে তাকে মুখস্থ করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

স্লেটে লিখতে যে কালি ব্যবহৃত হয় তা পানি, লোবান (আগরবাতি তৈরির বিশেষ দ্রব্য) ও কাঠকয়লা দিয়ে তৈরি। লেখা হয় সাদা পালকের কাঠি দিয়ে। হাতে লেখা সূরাটি যখন শিক্ষার্থীর মুখস্থ হয়ে যায়, তখন এটি শিক্ষককে শোনাতে হয়। পড়া শুনে শিক্ষক খুশি হলে স্লেটটি পানি দিয়ে মুছে পরিষ্কার করে আবার নতুন সূরা ও অংশ লেখার অনুমতি পায় শিক্ষার্থী। ফাতেমা ও তার সঙ্গীরা সাধারণত এভাবেই পবিত্র কুরআনে কারিম হিফজ সম্পন্ন করে।

স্লেট ধোওয়ায় যে পানি ব্যবহার করা হয়, ক্যামেরুনে সেই পানি খুবই মূল্যবান। বিশেষ পাত্রে সংরক্ষণ করে বিভিন্ন কাজে বরকতস্বরূপ তা ব্যবহার করে ক্যামেরুনবাসী। বর্তমানে এখানে কুরআনের সাধারণ প্রতিলিপির ব্যবহার শুরু হলেও প্রাচীন এই পদ্ধতিটি এখনো অনেকে আঁকড়ে রেখেছে।

উল্লেখ্য, ক্যামেরুন মধ্য আফ্রিকার একটি দেশ। দুই শতাধিক ভাষাভাষী গোষ্ঠীর বাসস্থান। বৈচিত্র্যের কারণেই এটি ‘আফ্রিকার খুদে রূপ’ হিসেবে পরিচিত। ব্রিটেন ও ফ্রান্সের দুটি ঔপনিবেশিক অঞ্চল একত্র হয়ে ১৯৬১ সালে ক্যামেরুন গঠিত হয়। আঠারো শতকে ক্যামেরুনে মুসলিম বণিক ও সুফি-ধর্ম প্রচারকদের মাধ্যমে ইসলামের প্রচার-প্রসার ঘটে। বর্তমানেও ক্যামেরুনের প্রায় ৪৮ শতাংশ মানুষ সুফি মতবাদে বিশ্বাসী।

সিআইএর দ্য ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুকের তথ্য মতে, ক্যামেরুনে মুসলিম জনসংখ্যা মোট অধিবাসীর ২০.৯ শতাংশ। তবে অন্যান্য সূত্র থেকে জানা যায়, ক্যামেরুনের জনগোষ্ঠীর প্রায় ৩০ শতাংশ মুসলিম। সূত্র: আলজাজিরা স্টোরিজ ও অন্যান্য গণমাধ্যম

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ