শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জমিয়তের জাতীয় কাউন্সিলের ৭ নতুন প্রস্তাবনা ‘আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি ব্যতিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সংহতি বজায় রাখা সম্ভব নয়’ গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেপ্তার এবার যে ২০ ভাষায় অনুবাদ করা হবে হজের খুতবা সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ ৫ বছরের পক্ষেই জামায়াত স্বামীর টাকায় হজ করলে ফরজ আদায় হবে? ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ ৩০ ফিলিস্তিনি, নেই উদ্ধারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পেহেলগামে হামলার স্বচ্ছ তদন্তের জন্য পাকিস্তান প্রস্তুত: শাহবাজ শরীফ জমিয়তের সভাপতি আল্লামা ওবায়দুল্লাহ ফারুক মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি খেলাফত আন্দোলনের নতুন মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী

'অভিজ্ঞতার আলোয় কথা বলা আল্লামা আহমদ শফীর অধিকার'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

 মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী ।।

আল্লামা আহমদ শফী দা বা ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোনারগাঁওয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার পুরোটা আপনাকে শুনতে হবে। এক আধটি পত্রিকার নিউজ দেখে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। কওমী ঘরানার অনলাইন মিডিয়ার রিপোর্টগুলো পড়া উচিৎ। একটি বাক্য বা উক্তি নিয়ে কটাক্ষ নয় পুরো কথাটি কী বলেছিলেন, সেটি জানতে হবে। তার কোনো বক্তব্য বুঝে না আসলে তিনি যে সব লোকের উপর আস্থাশীল,তাদের কাছে এর ব্যাখ্যা পেতে পারেন।

তিনি বর্ষীয়ান মানুষ হিসাবে সহজ সরল কথা বলে থাকেন। কোনো রাখঢাক ও ঘোরপ্যাঁচ তার কথায় থাকেনা। তার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত বা শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে না পারলে না করেন কিন্তু তাই বলে তার প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করবেন না। তার সমালোচনা করবেন না। তার শানে বেয়াদবী করবেন না।

তার অধিকার আছে কথা বলার। খালেদাকে তিনি যেমন পেয়েছেন তা তিনি বলতেই পারেন। হাসিনাকে যেমন পেয়েছেন তাও তিনি অকপটে বলতে পারেন। এ দুই মহিলাকে তিনি যেমন পেয়েছেন তা তিনি কেন বলবেন না? তার আজকের এ জাতীয় পর্যায়ের ব্যক্তিত্ব শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা মমতা ও বদান্যতায় ঋদ্ধ। তার কথা নেতৃস্থানীয় বহু কওমী আলেমের সুখী সমৃদ্ধিশালী নবতর অভিজ্ঞতারই উচ্চারণ।

আপনার ভিন্নমত আপনি শালীন ভাষায় প্রকাশ করুন। গালি না দিয়ে নিজের যুক্তি ও বার্তা তুলে ধরুন। এটা আপনার অধিকার। এ অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে সীমালঙ্ঘন করবেন না।

নিজ উপলব্ধি আর অভিজ্ঞতার আলোয় কথা বলা আল্লামা আহমদ শফী দা বা এর অধিকার। তিনি নিজে যা পেয়েছেন তার আলোকেই বক্তব্য দিয়েছেন, অন্যের মুখে তিনি ঝাল খাননি। তিনি যা বলেছেন, স্বেচ্ছায় সুচিন্তিতভাবে বর্তমান ভবিষ্যত উপলব্ধি করেই বলেছেন। ইলহামী মন্তব্য বা সিদ্ধান্ত প্রথমে সবার কাছে বোধগম্য না হলেও আখেরে তাতে সমূহ কল্যাণ দেখা যায়।

শীর্ষস্থানীয় অন্য যারা যারা নিজমুখে ঝাল খেয়েছেন, তারাও ভালোমন্দ কিছু বলবেন আশা করি। সবাই নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ করেও চুপ থেকে কেবল এই প্রবীণকে দিয়ে বলাবেননা। কারণ দুই নেত্রীর পার্থক্য আপনারাও দেখেছেন। পরখ করার পর দু'জনের মধ্যকার তফাৎ জনসমক্ষে প্রচারের প্রেরণা কিংবা শুকরিয়াবোধ আপনাদেরও থাকার কথা। সব দায়িত্ব ও দোষ একা এই শতায়ু বুযুর্গের ওপর চাপাবেননা। কওমী ঘরানার বর্তমান শান্তি ও কামিয়াবীর সংবাদ শতমুখে উচ্চারিত হওয়া উচিত।

জনগণের অধিকার আছে সবার কথা শোনার। কওমী ঘরানার প্রাপ্তি ও অর্জন সম্পর্কে কওমের জানার অধিকার সবচেয়ে বেশি। কওম ও মিল্লাতের বড় কোনো ক্ষতি হয়ে থাকলে, এ খবরটিও তাদের আলেমসমাজই জানাবেন।

দীন,ঈমান ও দেশ সম্পর্কে এ দুই মহিলার কাছেই জনগণের কিছু জানার থাকতে পারে। এসবও তাদের আলেমদের মাধ্যমেই জানা সম্ভব। ভালো মন্দ পার্থক্য করার ক্ষমতা তো আল্লাহ আলেমদেরই বেশি দিয়ে থাকেন।

লেখক : সিনিয়র সহকারি সম্পাদক, দৈনিক ইনকিলাব

(ফেসবুক থেকে নেয়া)


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ