বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

উত্ত্যক্তের বিচার চাওয়ায় ধর্ষণ, মামলার শাস্তি হত্যা!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম :  সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিউটি আক্তার নামের এক কিশোরীর ছবি ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা যায়, সবুজ ঘাসের ওপর লাল জাম পড়া ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ দেখে শিউরে উঠছেন সবাই।

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণডোরা গ্রামে হত বিউটির বাড়ি । বখাটের উৎপাতে স্কুল ছেড়ে একটি কোম্পানিতে চাকরি নিয়েছিল কিশোরী বিউটি আক্তার। কিন্তু কাজে আসা-যাওয়ার পথে বাবুল মিয়া ও তার সহযোগীরা উত্ত্যক্ত করে বিউটির জীবনের শান্তি কেড়ে নিতে নষ্ট করতে থাকলো।

অভিযোগ ওঠে, এই হয়রানির অভিযোগ করায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে একমাস আটকে রেখে বিউটি আক্তারকে ‘ধর্ষণ’ করে বাবুল। এই ঘটনায় মামলা করায় ফের বিউটিকে তুলে নিয়ে যায়। এবার ধর্ষণের পর খুন করে বিউটির লাশ হাওরে ফেলে দেওয়া হয়।

জানা যায়, গত ১ মার্চ বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা ইউপি সদস্য কলমচানকে আসামি করে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। গত ৪ মার্চ আদালত শায়েস্তাগঞ্জ থানাকে এ মামলার আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। তারপরও শাস্তোগঞ্জ থানা পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ বিউটির স্বজনদের।

নিরাপত্তাহীনতায় ১৬ মার্চ বিউটিকে লাখাইয়ে নানার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকেও ফের অপহরণ করা হয় বিউটিকে। এরপর গত ১৭ মার্চ ব্রাহ্মণডোরা হাওরে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয় বিউটির মৃতদেহ।

বিউটি হত্যার ঘটনায় বাবুল মিয়া ও তার মা ইউপি সদস্য কলমচাঁনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা হয়। এরমধ্যে কলমচাঁন গ্রেফতার হলেও, এখনও পলাতক বাবুল মিয়া।

পুলিশ জানায়, থানায় মামলা দায়েরের পর তারা বাবুলের মা কলমচান ও সন্দেহভাজন হিসেবে ঈসমাইল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। কিন্তু গাঢাকা দেওয়ায় বাবুলকে তারা গ্রেফতার করতে পারেনি।

এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, ‘বিউটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল আসামি বাবুলকেগ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সে যেখানেই থাকুক, তাকে শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে।’

আরও পড়ুন : ধরণ পাল্টে ভয়াবহ রূপে যৌতুক; বিলুপ্ত হচ্ছে না কেনো?

 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ