চড়া গরমে প্রাণ জুড়াতে দরকার সজীব কিছু—আর এমন এক ফল হলো জাম। রসে ভরা, মিষ্টি স্বাদের এই গাঢ় বেগুনি ফলটি শুধু খেতে ভালো নয়, এতে লুকিয়ে রয়েছে শরীরের জন্য বিস্ময়কর সব উপকারিতা।
জাম বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামে পরিচিত—ব্ল্যাক প্লাম, জাম্বুল, কালা জামুন, নাভাল প্রভৃতি নামে ডাকা হয়। গ্রীষ্মকালীন এই ফল এখন বাজারে সহজেই মিলছে। নুন-লংকা মেখে খাওয়ার সময় যে স্বাদের বিস্ফোরণ ঘটে, তা সত্যিই অনন্য।
তবে জাম শুধু স্বাদের উৎস নয়, বরং একাধিক ওষধিগুণ সম্পন্ন একটি ফল।
জাম যেসব স্বাস্থ্য উপকারে আসে:
ত্বক ও হজমে সহায়ক: জাম হজমশক্তি বাড়ায়, পেট ঠান্ডা রাখে ও ত্বকের নানা সমস্যা দূর করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি দারুণ উপকারী। বীজ, ছাল ও পাতা পর্যন্ত ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়।
রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়: আয়রন সমৃদ্ধ জাম শরীরে রক্ত তৈরিতে সহায়ক এবং শরীরকে অক্সিজেন সরবরাহে সহায়তা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: এতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান দেহকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
হার্ট ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে: এতে থাকা পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
দাঁত ও মাড়ির যত্নে: জামগাছের পাতা গুঁড়ো করে টুথপাউডার হিসেবে ব্যবহার করলে মাড়ির রক্তপাত ও সংক্রমণ রোধ হয়।
ত্বকের যত্নে: অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যাস্ট্রিনজেন্ট উপাদান ত্বক রাখে উজ্জ্বল ও ব্রণমুক্ত।
পুষ্টিগুণ (প্রতি ১০০ গ্রামে):
-
ক্যালরি: ৬২
-
কার্বোহাইড্রেট: ১৫.৫ গ্রাম
-
ফাইবার: ১.৫ গ্রাম
-
ভিটামিন C: ১৮ মি.গ্রা.
-
আয়রন: ১.৪১ মি.গ্রা.
-
পটাশিয়াম: ৫৫ মি.গ্রা.
শুধু স্বাদের জন্য নয়, জাম খাওয়া মানেই নিজের শরীরের জন্য একটি উপকারী প্যাকেজ গ্রহণ। তাই গরমকালীন এই ফলটি আজ থেকেই নিয়মিত খেতে শুরু করুন—স্বাস্থ্যবান থাকুন, প্রাকৃতিকভাবে।
এনএইচ/