রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ ।। ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১১ জিলকদ ১৪৪৫


দুনিয়া বিমুখ আলেমেদ্বীন মাওলানা নূরুদ্দীন (রহ.)


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

|| ফাতেমা বিনতে নুরুদ্দীন ||

নিভৃতে থেকে এদেশে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেসব আলেম কাজ করে গেছেন; তাদের অন্যতম মাওলানা নূরুদ্দীন (রহ.)। নিজ এলাকা কিশোরগঞ্জের নিকলীতে তিনি বড় হুজুর নামে অধিক পরিচিত ছিলেন। তার হাত ধরে হাওর অঞ্চলে দূর হয়েছিল বেদাত-শিরকি কার্যকলাপ। ফুটেছিল সত্যের আলো।

জন্ম ও বংশ পরিচয়: কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলার পূর্ব-দক্ষিণ কোণে জলমগ্ন হাওরের বুক চিরে আবহমান কাল ধরে শির উঁচিয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে শ্যামলিমার আকার ছাতিরচর গ্রাম। ঘোড়াউত্রার অববাহিকায় অবস্থিত এই প্রত্যন্ত লোকালয়ে ভাটি এলাকার গৌরব এবং ছাতিরচর গ্রামের তথা নিকলী উপজেলার প্রথম ও প্রবীণ আলেমে দ্বীন হমাওলানা নূরুদ্দীন বড় হুজুর (রহ.) ২১ মার্চ ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে সম্ভ্রান্ত বংশে কাজী বাড়িতে জন্ম গ্রহন করেন। তার বাবার নাম নোয়া গাজী এবংমায়ের নাম আলেকজান। এই দম্পত্তির ৮ ছেলে ও ৪ মেয়েসহ ১২ সন্তানের মাঝে মাওলানা নূরুদ্দীন (রহ.) ছিলেন দশম।

নামকরণ: ইসলামিক রীতি অনুযায়ী বাবা মা জন্মের সপ্তম দিনে তার নাম রাখেন সাহাজ উদ্দিন। পরবর্তীকালে ইসলামী শিক্ষার্জনের জন্য তিনি মাদ্রাসায় ভর্তি হলে ওস্তাদগণ তার পূর্বের নাম পরিবর্তন করে নাম রাখেন নূরুদ্দীন। যেই নূরের প্রদীপ্ত দ্বীনের আলোয় আলোকিত আজকের ছাতিরচর গ্রাম।   

শিক্ষাজীবন: জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ে বড় হজুর (রহ.) গ্রামের মক্তবে মৌলভী ইদ্রিছ আলী রহ. এর কাছে পড়াশোনা করেন। ১৯৭৬ সালে ইটনা উপজেলায় ওস্তাদ মরহুম ছাইদুর রহমান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় তিনি ভর্তি হন। সেখানে আনুমানিক ৪/৫ মাস পড়াশোনা করার পরে উত্তরপাড়া জামে মসজিদের সম্মানিত ইমামের মাধ্যমে তিনি উত্তর মির্জানগর কওমী মাদ্রাসা, রায়পুরা, নরসিংদীতে ভর্তি হন। সেখানে ২ বছর পড়াশোনা করেন। তারপর সেখান থেকে চলে আসেন এবং জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জে নাহবেমীর ক্লাসে ভর্তি হন। ১৯৮৫ সালে অত্র মাদ্রাসা থেকে তিনি দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন। পরের বছর ১৯৮৬ সালে  আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে ফুনূনাত সম্পন্ন করেন।

ছাতিরচর মাদ্রাসায়ে ইমদাদিয়া দারুল উলুম প্রতিষ্ঠা- ফুনূনাত সম্পন্ন করে নিজ গ্রামে ফিরে আসেন। ধর্মীয় কুসংস্কার তথা বিদআত, শিরক এবং মানুষের মনগড়া বানানো রসম রেওয়াজ অন্ধকারাচ্ছন্ন ছাতিরচর গ্রাম। তিনি তখন গ্রামের  সর্বস্তরের মানুষজনকে একত্র করে মরহুম হাজী কাঞ্চন মহাজনের বাড়িতে এক মিটিং করেন। মিটিং এ তিনি ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব ,তাৎপর্য এবং মনগড়া আমলের কুপ্রভাব সম্পর্কে সমস্ত মানুষকে অবহিত করে গ্রামে একটি মাদ্রাসা করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। তখন উপস্থিত জনতা নারায়ে তাকবীর , আল্লহু আকবার বলে স্লোগান দিতে থাকেন এবং তার প্রস্তাবে সমর্থন করেন। অতঃপর গ্রামের আপামর জনসাধারণের সর্বোচ্চ সহযোগিতা এবং তার বন্ধুবর সবাইকে নিয়ে ১৯৮৭ সালে তিনি নিকলী উপজেলার প্রথম মাদ্রাসা ছাতিরচর ইমদাদিযা দারুল উলুম প্রতিষ্ঠা করেন এবং মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মোহতামিমের পদটি তিনি অলংকৃত করেন।

প্রথম দিকের ছাত্ররা- মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকে তিনি মরহুম সুরুজ আলী মেম্বারের বাড়িতে ক্লাস করাতে আরম্ভ করেন। তখনকার ছাত্রদের মধ্যে যারা ছিলেন তারা হলেন- মাও. হাবীবুর রহমান, মাও. নজরুল ইসলাম, মুফতী আবুল কাশেম, মাও. আনোয়ার হোসেন, মাও. আওয়াল, মুফতী আব্দুর রহমান, মাও. জযনাল আবেদীন, জনাব সুরুজ আলী প্রমূখ।

বিবাহ সম্পন্ন- তিনি ১৭ জুন ১৯৮৮ সালে ছাতিরচর গ্রামের স্বনামধন্য বংশ হাজী দৌলত বেপারীর বাড়িতে ইব্রাহিম মিয়ার বড় মেয়ে নাছিমা আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার ৪ কন্যা ও  ১ পুত্র সন্তান। 

পেশাগত জীবন- ছাতিরচর মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এই মাদ্রাসাতেই ছিলেন। ১৯৯৬  সালে তাদের বাড়ি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়লে তারা পাড়াবাজিতপুরে স্থানান্তরিত হন। তখন তিনি  দৌলতপুর মসজিদে কয়েক মাস  ইমামতির দায়িত্ব পালন করেন। তারপর শাহপুর মাদ্রাসায় এহতেমামের দায়িত্ব পালন করেন। এখানে তিনি বছর দুয়েক চাকরি করার পর  করগাঁওয়ে আব্দুল জব্বার সাহেবের মাদ্রাসায় ১ বছর শিক্ষকতা করেন। পরবর্তিতে ১৯৯৯ সালে কটিয়াদি উপজেলার চর মান্দালিয়ায় কর্নেলের মাদ্রাসায় যোগদান করে সেখানে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৯ বছর অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে এহতেমামের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৮ সালে পুনরায় ছাতিরচর মাদ্রাসায় মোহতামিম হিসেবে যোগদান করেন এবং মহান আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছাতে আমৃত্যু তিনি তার নিজ হাতে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন।

   
মানুষ হিসেবে কেমন ছিলেন বড় হুজুর রহ.:
ব্যক্তি  জীবনে তিনি  ছিলেন অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, সৎ, নিষ্ঠাবান এবং পরোপকারী। তিনি খুবই সাধারণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। তার কিছু বৈশিষ্ট্য নিম্নে দেওয়া হল-

সততা: তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অন্যতম একটি দিক হলো সততা। তিনি আমৃত্যু সৎ জিন্দেগী করে ইহলোক ত্যাগ করেছেন। ছোটবেলায় সবেমাত্র তিনি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছেন। একদিন তিনি বাবাকে বলেন, বাবা  আপনি আমাকে একটি পাঞ্জাবী বানিয়ে দিবেন। এবং সেটার টাকা হতে হবে আপনার হালাল উপার্জনের টাকা। এ কথা শুনে তার বাবা খুব খুশি হন। 

পরোপকারী: অন্যের দুঃখে যার হৃদয় গলে, লোচন গড়িয়ে পড়ে জল সে মানুষ কখনোই অন্যের ক্ষতি করতে পারেন না বরং সেই হয় পরোপকারী। বড় হুজুর (রহ.) মনে প্রানে একজন পরোপকারী মানুষ ছিলেন। একবার তিনি তার ভাতিজাকে নিয়ে ভাগলপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। ওখানে গিয়ে ছাতিরচরের একজন লোককে পেটের পীড়ায় অস্থির দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করলে  ঐ ব্যক্তি বলেন তার  ইমারজেন্সি অপারেশন লাগবে কিন্তু বাড়ি থেকে সাথে কেউ আসেনি এবং হাতে তেমন টাকা পয়সাও নেই। তখন মোবাইলেরও  যুগ ছিল না। এ কথা শুনে বড় হুজুর (রহ.) তার ভাতিজার চিকিৎসার জন্য যে টাকা নিয়েছিলেন সেই টাকা  দিয়ে  নিজে দস্তখত করে অপারেশনের ব্যবস্থা করে তবে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসে ঐ লোকের অভিভাবকদের  হাসপাতালে পাঠান। অবশ্য পরে এ টাকা দিয়ে দেন। এভাবেই  তিনি সবসময়ই অন্যের বিপদে এগিয়ে যেতেন।

মমতাময়ী মা এবং সন্তানের প্রতি ভালোবাসা ও আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা: মায়ের প্রতি সন্তানের সম্মান ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতাবোধ কেমন হবে তিনি ছিলেন তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বড় হুজুর (রহ.) তার মায়ের পরলোক গমনের পূর্ব পর্যন্ত নিজের কাছে রেখেছেন। একবার তার মা ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তিনি চরমান্দালিয়ায় শিক্ষকতা করতেন। মায়ের অসুখের কথা শুনে তড়িৎ গতিতে বাড়ি আসেন। তাকে দেখে তার মা শোয়া থেকে উঠে বসেন। বড় হুজুর মাকে জিজ্ঞেস করলেন, মা তুমি নাকি অসুস্থ এখন কেমন লাগছে? তার মা শুধালেন, আমার বাজান চলে এসেছে, আমি তোমার মুখ দেখেই অর্ধেক সুস্থ হয়ে পড়েছি। এ কথা শুনে তার অন্য ছেলেরা হাসতে লাগলেন আর বললেন, এ জন্যই তো মাওলানারে খবর দিয়ে আনছি। ছোড়াও বড় হুজুর (রহ.)  এর সন্তানদের অভিমত যে, তিনি কখনো তার সন্তানদের তুই বলে সম্বোধন করেননি বা কখনো ধমক দিয়ে কথা বলেননি। এভাবেই তিনি শুধু তার পরিবারে না , আমৃত্যু  তিনি তার সকল আত্মীয় স্বজনের সাথেই সু-সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন।

নিরহংকার: তিনি আপাদমস্তক একজন নিরহংকারী মানুষ ছিলেন। নিকলী উপজেলার প্রথম আলেমে দ্বীন হওয়া সত্ত্বেও তাকে কোনো প্রকারের অহংকারেবোধ স্পর্শ করতে পারেননি। ছাতিরচর মাদ্রাসায়ে ইমদাদিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করার কারণে গ্রামের মানুষ তাকে প্রতিষ্ঠাতা বলে থাকেন। এক সাক্ষাৎকারে তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রতিউত্তরে অকপটে জানান যে, ছাতিরচর মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হলেন আমার গ্রামের আপামর জনসাধারণ। আমি কেবল একজন উদ্যোক্তা ছিলাম। গ্রামের সমস্ত মানুষ এবং আমিসহ আমার বন্ধুবর অসংখ্য সহযোগীরা মিলে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছি।

মেধাবী, বিচক্ষণ ও সাহসী: ছাত্র জীবন থেকে আরম্ব করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি তার মেধা ,বিচক্ষণতা ও সাহসিকতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। সেই জন্য জামিয়া ইমদাদিয়ার ওস্তাদগণ ওনাকে অনেক স্নেহ ও আদর করতেন। মাদ্রাসা পরিচালনা,সামাজিক ও ধর্মীয় কুসংস্কার ,সমাজে বিদ্যমান বিদআত ও শিরকী কর্মকান্ড সমূহকে তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে উৎখাত করেন। ভন্ড পীরদের অনৈসলামিক কার্যকলাপ সমূহকে সমাজ থেকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করতে তিনি সাহসিক ভূমিকা রাখেন এমনকি কয়েকবার বাহাসের মাধ্যমে তাদের পরাজিত করে তাদের ভুলগুলি ধরিয়ে দিয়েছিলেন। সমাজে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় তিনি সর্বদাই সোচ্চার ছিলেন।

দুনিয়া বিমুখতা: পরকালীন চিন্তা তাকে সবসময় দুনিয়া বিমুখ করে রাখত। দুনিয়ার সুখ শান্তি, আরাম আয়েশী জীবনের চাকচিক্যময়তা তাঁকে কখনোই স্পর্শ করতে পারেনি। কথাবার্তায়, পোশাকে, আচরণে এমনকি ইলমী আলোচনায় সেগুলো স্পষ্ট বুঝা যেতো। তার স্ত্রী যদি তাকে  বলতেন যে, আপনি যদি বাইরে কোন বড় মাদ্রাসায় চাকরি করতেন তাহলে তো আরো ভালো টাকা বেতন পেতেন। প্রতিউত্তরে তিনি বলতেন, টাকা পয়সা হচ্ছে বিলীয়মান ছায়া এবং অস্থায়ী। মহান  আল্লাহ তায়ালা আমার উছিলায় যেসব  ইলমী প্রতিষ্ঠান তৈরি  করেছেন এবং এসব প্রতিষ্ঠান থেকে যারা আলেম হয়েছেন ও হতে থাকবেন তারাই হলো আমার প্রকৃত ও চিরস্থায়ী সম্পদ । এবং আমার পরকালীন জগতের  নাজাতের উছিলা।এভাবেই তিনি দুনিয়াবি  সমস্ত কিছুর ওপরে পরকালীন বিষয়াবলী সমূহকে প্রাধান্য দিতেন ।

অসুস্থতা: আকস্মিকভাবে ২০০৮ সালে  তিনি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হন। ২০২০ সালে হঠাৎ একদিন রাতে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে জরুরিভিত্তিতে গ্যাস প্রয়োগের মাধ্যমে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেন। পরের দিন কিশোরগঞ্জে ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর জানা যায় , অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে কিডনীর ক্রিটিনিন অধিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছে। সেই থেকেই আমৃত্যু তিনি চিকিৎসাধীন  ছিলেন ।

পরলোক গমন: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে আবার তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে পরের দিন কিশোরগঞ্জ ডাক্তারের কাছে নেওয়া হয়। ডাক্তার জানান যে, তার শরীরে রক্ত দিতে হবে। পরে ৮ সেপ্টেম্বর সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৯ সেপ্টেম্বর ১ ব্যাগ এবং ১০ সেপ্টেম্বর আরো ১ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। ১০ তারিখ মাগরিবের আগ মূহুর্তে তার ছোট ভাই কফিল উদ্দিন এবং তার বেয়াই সাবেক চেয়ারম্যান মানিক চৌধুরী তাকে দেখতে মেডিকেলে গেলে তিনি চেয়ারম্যান সাহেবকে বলেন, বেয়াই আমার মনে হচ্ছে আমি আর বাঁচব না। ছোটবেলা থেকে একসাথে চলেছি। ভুল ত্রুটি হলে মাফ করে দিবেন।

এশার নামাজের পর হাসপাতালের বেডে বসে তিনি তার স্ত্রীর নিকট আরবিতে একটি হাদিস বর্ণনা করে বলেন, এমন এক জিনিস আছে যা মানুষকে দুনিয়ার সকল কিছুর মহব্বত তথা সম্পর্ক থেকে চিরতরে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আর সেটা হচ্ছে মৃত্যু। এজন্যই নবীজি বলেছেন, তোমরা মৃত্যুর কথা বেশি বেশি স্মরণ কর।

এরপর তিনি রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে শুয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। ঘরির কাটায় তখন প্রায় ১২ টা বাজে। হঠাৎ করে আবারো শ্বাসকষ্ট আরম্ভ হয়। ৫ মিনিটের মধ্যে অক্সিজেন লাগানো হয়। অক্সিজেন লাগানোর ২ মিনিটের মধ্যেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ৬২ বছর ৫ মাস ২১ দিন দুনিয়ার জিন্দেগী পেয়েছিলেন।

লেখক: সহকারী শিক্ষক, পশ্চিম গুরুই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিকলী, কিশোরগঞ্জ।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ