জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট সেক্রেটারি ইশতিয়াক মু. আল আমিন বলেছেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে পারলেই জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই বারবার শিক্ষা ব্যবস্থার উপর আঘাত আসছে। গত ফ্যাসিস্ট আমলে অন্তসারশূন্য শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নের আমলারা এখনো বহাল তবিয়তে। মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরে বসে তারা ষড়যন্ত্র করছে। দেশের প্রাইমারি স্কুলগুলোতে যেখানে হিন্দু শিক্ষাকরা ইসলাম শিক্ষা পড়ান সেখানে ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে ৫১৬৬ জন গানের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া কীসের আলামত? তাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম বদ্ধপরিকর।
গতকাল বেলা তিনটায় জেলা আইএবি মিলনায়তনে কক্সবাজার জেলা জাতীয় শিক্ষক ফোরামের দ্বি বার্ষিক শিক্ষক সম্মেলন তিনি উপরিউক্ত কথা বলেন।
জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইশতিয়াক মুহাম্মদ আল-আমিন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক ফোরাম চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মু. মহিউদ্দিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইশতিয়াক মু. আল আমিন আরো বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ আজ শিক্ষকরা সবচেয়ে অবহেলিত। যে দেশে শিক্ষকদের আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন হয় সে দেশে ভালো কিছু আশা করা যায় না। শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া আর চিকিৎসা ভাতার নামে যাকাত ফিতরার মতো কিছু কানা কড়ি ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে যেটি খুবই লজ্জাজন। গত ফ্যাসিট সরকার ২৬হাজার ১৯৩টি রেজিস্টার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করলেও একটি ইবতেদায়ী মাদ্রাসাও জাতীয়করণ করেনি। একই পাঠ্যবই পড়িয়ে যেখানে ইবতেদায়ী শিক্ষকরা ৩৫০০ টাকা বেতন পান সেখানে প্রাইমারি শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে (১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা)।এটি চরম বৈষম্য।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. মুহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন,দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আজও গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আমরা শিক্ষায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যে আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলাম তো অব্যাহত রাখতে হবে।
শিক্ষক সম্মেলন শেষে ২০২৫-২৬ সেশনের জন্য
অধ্যক্ষ জিয়াউল হককে সভাপতি,
অ্যাডভোকেট রিদওয়ানুল কবিরকে সহ-সভাপতি,
মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনকে সেক্রেটারি এবং
প্রফেসর নাসির উদ্দিনকে জয়েন্ট সেক্রেটারি করে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
এনএইচ/