নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুড়িপাড়া এলাকায় ভূমিকম্পের সময় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের তারের সঙ্গে তারের ঘর্ষণ থেকে সৃষ্ট স্পার্কে পাশের একটি তুলার কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৯ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বন্দর ও সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে টানা তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাটি স্থানীয়ভাবে জুলহাস মিয়ার তুলা গাইট বাঁধার কারখানায় নামে পরিচিত।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পরই বিকট শব্দে ট্রান্সফরমারটি কারখানার দেয়ালে আঘাত করে এবং সেখান থেকেই আগুন লাগে। এসময় একটি তারের সঙ্গে অন্য একটি তারের ঘর্ষণের ফলে সৃষ্ট ফুলকি ছড়িয়ে পড়ে ওই কারখানায়। এসময় কারখানার হাইড্রলিক প্রেস মেশিনের তেলের ড্রাম থাকায় বিস্ফোরণে আগুন আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে স্থানীয় তিনজন আহত হন; তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন, তবে তাদের নাম জানা যায়নি।
কারখানার মালিক জুলহাস মিয়া বলেন, ভূমিকম্পের সময় শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। হঠাৎ বৈদ্যুতিক খুঁটির দুই তার সংস্পর্শে এসে আগুনের ফুলকি পড়ে তুলার ওপর। মুহূর্তেই আগুন পুরো কারখানায় ছড়িয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় এক কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
স্থানীয় তুলা ব্যবসায়ী মনির হোসেন বলেন, বিভিন্ন কারখানার তুলা জুলহাস মিয়ার প্রেস হাউজে এনে গাইট বাঁধা হয়। এসব তুলা ভারত, নেপাল, চীনসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। আমাদেরও মালামালও ছিল—আমরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছি।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের জুন-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক ওসমান গণী বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কাজ শুরু করি। পাঁচটি ইউনিট তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। পাশে ডোবা থাকায় পানি সংগ্রহে সুবিধা হয়েছে। তবে এত বড় কারখানায় কোনো ফায়ার সেফটি ব্যবস্থার অস্তিত্ব চোখে পড়েনি—এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ধামগড় ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এলএইস/