বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২৭ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
নৈতিক ও আদর্শবান প্রজন্ম গড়তে ইসলামী শিক্ষার বিকল্প নেই: মাওলানা ফখরুল ইসলাম প্রবাসী ভোটার নিবন্ধনে যেসব দলিলাদি লাগবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা জাতির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত হবে : প্রধান উপদেষ্টা আফগানিস্তানে প্রতি ১০ জনে ৯ জনই খাদ্য সংকটে, ঋণে: ইউএনডিপি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও আ. লীগ নেতাদের নির্বাচন করতে না দেওয়ার দাবি নোয়াখালীতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু অক্টোবরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৯ জন নিহত, আহত ১২৮০ কুরআনের আলোকে আল্লাহর পরিচয় ও কর্তৃত্ব আ.লীগ ঠেকাতে বৃহস্পতিবার মাঠে থাকবে জামায়াত-ইসলামী আন্দোলনসহ ৮ দল খেলাফত মজলিস যুক্তরাজ্য নর্থ শাখার গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

অক্টোবরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৯ জন নিহত, আহত ১২৮০

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

অক্টোবর মাসে দেশের গণমাধ্যমে ৪৬৯ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৯ জন নিহত, ১২৮০ জন আহতের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এই মাসে রেলপথে ৫২টি দুর্ঘটনায় ৪৭ জন নিহত, ৩০ জন আহতের তথ্য গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। তথ্যমতে, নৌ পথে ১১ টি দুর্ঘটনায় নিহত ১২ জন ও ০১ জন নিখোঁজ রয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৩২ টি দুর্ঘটনায় ৫২৮ জন নিহত এবং ১৩১০ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে ১৭০ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭৬ জন নিহত, ১৩৭ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৬.২৪ শতাংশ, নিহতের ৩৭.৫২ শতাংশ ও আহতের ১০.৭০ শতাংশ। এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে ১২৬ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩০ জন নিহত ও ৩৪৩ জন আহত হয়েছে, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে ২০ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ৩৭ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

  বুধবার ১২ নভেম্বর সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ৫০ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৩৯ জন চালক, ১১৯ জন পথচারী, ২৭ জন পরিবহন শ্রমিক, ৩৮ জন শিক্ষার্থী, ১৪ জন শিক্ষক, ৯৭ জন নারী, ৪০ জন শিশু, ০১ জন আইনজীবি, ০২ জন সাংবাদিক, প্রকোশলী ০৩ জন এবং ১৮ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে- ০৪ জন পুলিশ সদস্য, ০১ জন র‌্যাব সদস্য, ০১ জন বিজিবি সদস্য, ০১ জন আইনজীবি, ০৩ জন প্রকোশলী, ১৩৩ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৯৯ জন পথচারী, ৫৮ জন নারী, ৩৫ জন শিশু, ৩৫ জন শিক্ষার্থী, ১৪ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৩ জন শিক্ষক ও ১৪ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৭৭২ টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৫.৯০ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২১.২৪ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৬.০৬ শতাংশ বাস, ১২.৮০ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৪.২৭ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৮.৪১ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৪.৭৯ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৯.৮৯ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫.১৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৯.৬১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৪.৬৯ শতাংশ বিবিধ কারনে এবং ০.৬৩ শতাংশ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪২.৪৩ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৩.৬৬ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৭.২৯ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪.৬৯ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.২৭ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৬৩ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে:
ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও গর্ত, অবাধে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক চলাচল, রোড সাইন ও আলোকসজ্জার অভাব, মিডিয়ানবিহীন সড়ক, অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, ট্রাফিক আইন অমান্য এবং বেপরোয়া ড্রাইভিং।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির সুপারিশে বলা হয়েছে:
দ্রুত সড়ক মেরামত, মহাসড়কে আলোকসজ্জা, দক্ষ চালক তৈরি, ফিটনেসে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু, চাঁদাবাজি বন্ধ, সার্ভিস লেন ও ফুটপাত স্থাপন, আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা এবং ফিটনেসবিহীন যান স্ক্র্যাপ করার পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

সমিতি আরও জানিয়েছে, রাস্তায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি পরিবহন মালিক-চালক, স্থানীয় প্রশাসন এবং সাধারণ জনগণেরও সচেতন ভূমিকা রাখতে হবে।

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ