শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৩ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কচুয়ায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও যুব মজলিসের নতুন কমিটি ঘোষণা কেবল নেতা পরিবর্তন করতে জুলাইয়ে ছাত্র-জনতা রক্ত দেয় নাই : শায়েখে চরমোনাই জুলাই চেতনার সাথে গাদ্দারি ইতিহাস ক্ষমা করবে না : নেজামে ইসলাম পার্টি  চাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্যানেল ঘোষণা হক্কানী আলেমদের পরামর্শে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জাতির জন্য কল্যাণকর: জমিয়ত আলোচনার মধ্যে কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল শনিবার ঢাকায় কচুয়ার উলামায়ে কেরামের মতবিনিময় সভা কুমিল্লার নূর মসজিদ মাদরাসায় একাধিক শিক্ষক নিয়োগ পিআর পদ্ধতি জনতা না চাইলে আমরাও আর দাবী করবো না: শায়েখে চরমোনাই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় বিপর্যয় অনিবার্য: মহাসচিব 

কুমিল্লা উত্তর জেলায় খেলাফত মজলিসের দাওয়াতি মাহফিল অনুষ্ঠিত


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

খেলাফত মজলিস কুমিল্লা উত্তর জেলার মুরাদনগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে এক দাওয়াতি মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল দিঘীরপাড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মিলনায়তনে আয়োজিত এই মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহমান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব জনাব এবিএম সিরাজুল মামুন। মাহফিল পরিচালনা করেন উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—

কুমিল্লা উত্তর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা এমদাদ উল্লাহ খান

জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ডা. আব্দুল ওয়াহ্হাব শিবলী

প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা হাবিবুর রহমান কাফী।

প্রধান অতিথি এবিএম সিরাজুল মামুন বলেন, "খেলাফত মজলিস প্রতিষ্ঠার পর থেকে কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক ন্যায়পরায়ণ ও ইনসাফপূর্ণ জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে আমরা ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিচ্ছি।"

তিনি আরও বলেন, "এই সংগঠন শুধু রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি একটি আদর্শ আন্দোলন—যার লক্ষ্য হলো খোদাদ্রোহী শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে আল্লাহর বিধানভিত্তিক খেলাফতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।"

অন্যান্য বক্তারাও বলেন, "আমরা অতীতে যেভাবে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সাহসিকতা দেখিয়েছি, ভবিষ্যতেও সে সাহসিকতা বজায় রাখতে হবে। যাতে দেশে কোনো স্বৈরশাসক আবার মাথা তুলতে না পারে।"
তাঁরা আরও বলেন,
"এই লক্ষ্য অর্জনে প্রত্যেক মুসলমানের উচিত ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া, বিশেষ করে খেলাফত মজলিসের আদর্শকে সামনে রেখে সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা। কারণ খেলাফত মজলিস শুধু একটি সংগঠন নয়, বরং এটি একটি সংগ্রামী কাফেলা, যা ইসলামের বিজয় নিশ্চিত করতে অগ্রসর হচ্ছে।"

বক্তারা জোর দিয়ে বলেন—“খেলাফত মজলিসে যোগদান মানে কেবল একটি সংগঠনের সদস্য হওয়া নয়, বরং এটি ইসলামের বিজয়মুখী আন্দোলনের একজন সৈনিক হওয়া।”

দাওয়াতি মাহফিলে স্থানীয় আলেম-উলামা, মসজিদের ইমাম ও খতিবগণ, বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীল এবং সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন। মাহফিলের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে ইসলামী আন্দোলনের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ