শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৩ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কচুয়ায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও যুব মজলিসের নতুন কমিটি ঘোষণা কেবল নেতা পরিবর্তন করতে জুলাইয়ে ছাত্র-জনতা রক্ত দেয় নাই : শায়েখে চরমোনাই জুলাই চেতনার সাথে গাদ্দারি ইতিহাস ক্ষমা করবে না : নেজামে ইসলাম পার্টি  চাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্যানেল ঘোষণা হক্কানী আলেমদের পরামর্শে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জাতির জন্য কল্যাণকর: জমিয়ত আলোচনার মধ্যে কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল শনিবার ঢাকায় কচুয়ার উলামায়ে কেরামের মতবিনিময় সভা কুমিল্লার নূর মসজিদ মাদরাসায় একাধিক শিক্ষক নিয়োগ পিআর পদ্ধতি জনতা না চাইলে আমরাও আর দাবী করবো না: শায়েখে চরমোনাই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় বিপর্যয় অনিবার্য: মহাসচিব 

ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারের সহায়তায় ছেলেটি তার পরিবার ফিরে পেলো 


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

মো. সাখাওয়াত হোসেন (ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি)

ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. রনি ব্যাপারী'র সহায়তায় মো. তামিম হোসেন (১৩) নামে এক মাদরাসার শিক্ষার্থী তার পরিবারের কাছে ফিরে গিয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায়  ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে মো. তামিম মোল্লাকে তার পিতার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

তামিম ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কলিমাঝি গ্রামের মো. কাইয়ুম মোল্লার ছেলে।

সে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কাটাগড় দেওয়ান শাগির শাহ দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। 

এবিষয়ে তামিমের পিতা বলেন, "গতকাল তাকে পড়াশোনা এবং নামাজ ঠিক মত না পড়ায় তাকে একটু রাগারাগি করা হয়। পরে রাগকরে সে বাড়ি থেকে এখানে চলে এসেছে। স্টেশন মাস্টার এবং সাংবদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার এবং ধন্যবাদ জানান তিনি।"

এবিষয়ে ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. রনি ব্যাপারী আওয়ার ইসলাম এর ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধ মো. সাখাওয়াত হোসেনকে বলেন, "গতকাল সে রাগকরে বাড়ি থেকে রেল যোগে ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছায়। রেল থেকে একে একে সব যাত্রী চলে গেলেও তামিম রেল থেকে নেমে ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনেই ঘুমিয়ে পড়ে, আমি ডিউটিরত অবস্থায় ছিলাম। আমি ছেলেটিকে দেখতে পেয়ে তার কাছে যান, তাকে জিজ্ঞাসা করি তার ঠিকানা এবং কিভাবে সে ভাঙ্গায় আসলো। পরে তামিম জানায়, তাকে পড়াশোনার জন্য এবং ঠিকমতো নামাজ না আদায় করার জন্য তার পরিবার তাকে রাগারাগি করেছে সে জন্য সে ট্রেনে উঠে বাড়ি থেকে চলে এসেছে ভাঙ্গায়। পরে ওর কাছে থেকে ওর পরিবারের ফোন নম্বর নিয়ে পরিবারের সাথে কথা বলি। এরপরে আজ সকালে ওর বাবা, ঔ এলাকার ইউপি সদস্য, প্রধান শিক্ষক হাবিবুল্লাহ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গগণ অফিসে আসেন। সকলের উপস্থিতিতে তামিমের পিতার কাছে তামিমকে বুঝিয় দেওয়া হয়।"

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মো. কাইয়ুম মোল্লা, ইউপি সদস্য,
দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুল্লাহ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গগণ সহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ