শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ।। ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৪ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
মুসলিম সমাজের দুর্ভাগ্য অনুসারীদের নিয়ে হেফাজতের মহাসমাবেশে থাকবেন মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী মদিনায় প্রথম বাংলাদেশি হাজির মৃত্যু আগামী সাত মাস বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : প্রেস সচিব হেফাজতের মহাসমাবেশে ছারছীনার পীরের সমর্থন মক্কায় বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির সতর্কতা, হজযাত্রীদের নিয়ে শঙ্কা হার্ভার্ডের ৯২ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন  যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু আলোচনা স্থগিত যারা পালিয়ে গেছে, তাদের এদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই: হাসনাত আবদুল্লাহ গাজায় কমপক্ষে ৩১ ফিলিস্তিনি শহীদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে ‘পরিস্থিতি বিপর্যয়কর’

‘ঘুষ খেয়ে’ কারাগারে গেলেন মাদারীপুরের সাবেক এসপি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাদারীপুর প্রতিনিধি

পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মাদারীপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) ও বর্তমান ডিআইজি সুব্রত কুমার হালদারকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির আসামি ও দুদুকের আইনজীবীর জামিন শুনানি শেষে সুব্রত কুমার হালদারকে কারাগারে পাঠান।

সুব্রত কুমার হালদারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যেখানে ১৭ প্রার্থীর কাছ থেকে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার ওই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম ১১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, সুব্রত কুমার হালদার ২০১৯ সালে মাদারীপুর পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকাকালে কনস্টেবল পদে নিয়োগে দুর্নীতির ঘটনা ঘটে। ওই বছরের ২৬ জুন মাদারীপুর থেকে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। চূড়ান্ত ফলাফলের ভিত্তিতে ৫৪ জনকে পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। ওই নিয়োগ চলাকালে গোপন সংবাদে ঘুষ লেনদেনের ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা জব্দ করে পুলিশ। ওই ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানায় ছয়টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তর প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে এবং আদালতের মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন দুদকে পাঠানো হয়।

অভিযোগপত্রে জানা যায়, প্রধান আসামি সুব্রত কুমার হালদার বর্তমানে সারদা একাডেমিতে উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) যুক্ত আছেন। ২০২৩ সালের ৫ জুলাই সুব্রত কুমার হালদারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। তদন্ত শেষে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় সুব্রত কুমার নিজেই আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন চান। কিন্তু আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠান। অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

অন্য আসামিরা হলেন- মাদারীপুর পুলিশ লাইনসের বরখাস্ত কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমন ও জাহিদুল ইসলাম, মাদারীপুর জেলা পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট পিয়াস বালা ও মাদারীপুরের সাবেক টিএসআই (শহর উপপরিদর্শক) গোলাম রহমান। মামলায় নাম থাকা ছয় আসামির মধ্যে মাদারীপুর সদর থানার বাসিন্দা হায়দার ফরাজিকে অভিযোগ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

দুদক কর্মকর্তা অভিযোগপত্রের সূত্রে আরও বলেন, সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার (৫২) চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে অপরাধমূলক আচরণের মাধ্যমে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তাবলি লঙ্ঘন করে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। ফলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ