শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ।। ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৪ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
মুসলিম সমাজের দুর্ভাগ্য অনুসারীদের নিয়ে হেফাজতের মহাসমাবেশে থাকবেন মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী মদিনায় প্রথম বাংলাদেশি হাজির মৃত্যু আগামী সাত মাস বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : প্রেস সচিব হেফাজতের মহাসমাবেশে ছারছীনার পীরের সমর্থন মক্কায় বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির সতর্কতা, হজযাত্রীদের নিয়ে শঙ্কা হার্ভার্ডের ৯২ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন  যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু আলোচনা স্থগিত যারা পালিয়ে গেছে, তাদের এদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই: হাসনাত আবদুল্লাহ গাজায় কমপক্ষে ৩১ ফিলিস্তিনি শহীদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে ‘পরিস্থিতি বিপর্যয়কর’

শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাইকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রংপুর ব্যুরো

রংপুরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসার কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী আমেনা জীবন সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় আবু সাঈদের বড় দুই ভাইয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণেরও অভিযোগ উঠেছে ক্লিনিকের মালিকের বিরুদ্ধে। গত ১৮ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রংপুর নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় অবস্থিত জনসেবা ক্লিনিকে ঘটনাটি ঘটেছে।

অভিযোগে জানা যায়, আবু সাঈদের মামাতো ভাই সাজু মিয়া তার স্ত্রী আমেনা বেগমকে ৩৫ দিন আগে জনসেবা ক্লিনিকে ভর্তি করেন। তাদের বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার বড় ফলিয়া কাজীপাড়া গ্রামে। সেখানে তার জরায়ুর টিউমার অপারেশন করা হয়। কিন্তু অপারেশনের পর তাকে চারটি ট্যাবলেট ছাড়া আর কোনও ওষুধ দেয়া হয়নি। এমনকি ক্লিনিকের কোনও চিকিৎসকও রোগী দেখতে আসে নাই বলে স্বজনদের অভিযোগ।

বিষয়টি জানার পর সোমবার সন্ধ্যায় আবু সাঈদের দুই বড় ভাই রমজান আলী ও আবু হোসেন তাদের মামাতো ভাইয়ের স্ত্রীকে দেখতে ওই ক্লিনিকে যান। সেখানে জানতে পারেন, ক্লিনিকের মালিক ডা. মোসাদ্দেকুল ইসলামের ভুল চিকিৎসার শিকার হয়েছেন তিনি। তার জরায়ুর অপারেশন করার পর মূত্রথলিতে প্রস্রাব আটকে রাখতে পারছে না। এমন অবস্থায় আরও সমস্যা দেখা দেওয়ায় বিষয়টি জানতে ওই ক্লিনিকের ডা. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের সঙ্গে চরম খারাপ ব্যবহার করা হয়। এমনকি তাদের চেম্বার থেকে বের করে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়।

এ বিষয়ে আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী ও আবু হোসেন বলেন, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের ভুল চিকিৎসা ও অপারেশনের কারণে তাদের ভাবির অবস্থা সংকটাপন্ন। তারা এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন। সেই সঙ্গে রোগীর কিছু হলে এর দায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে বলেও জানান তারা।

এ বিষয়ে ক্লিনিকে মালিকের ছেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। এমনকি তিনি তার নামও বলতে রাজি হননি। তবে এক পর্যায়ে বলেছেন ক্লিনিকের মালিক ডা. মোসাদ্দেকুল ইসলাম তার বাবা, তিনি নিজেও চিকিৎসক।

বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত- এখানে বসে রোগী দেখেন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, নো কমেন্ট।

মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত আতাউর রহমান বলেন, ভুল চিকিৎসার কারণে একজন রোগী সংকটাপন্ন বলে খবর পেয়েছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ