রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ৬ পৌষ ১৪৩২ ।। ১ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ফয়সালের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রচার করা কৌশল হতে পারে: রফিকুল ইসলাম দীপু চন্দ্র ও শিশু আয়েশাকে পুড়িয়ে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ হেফাজতে ইসলামের রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে ভারতীয় আধিপত্যবাদের কবর রচিত হয়ে গেছে: পীর সাহেব চরমোনাই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে গ্রেপ্তার হান্নানের জামিন ওসমান হাদি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলেন : আইন উপদেষ্টা আল্লাহ আমাদের মক্কা ও মদিনার রক্ষক হওয়ার সম্মান দিয়েছেন : ফিল্ড মার্শাল মুনির বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রতিনিধি দলের হাদির কবর জিয়ারত কওমি মাদরাসা সুনাগরিক তৈরির কারখানা: আল্লামা আবদুর রাজ্জাক আল হুসাইনী কুমিল্লায় হেফাজত নেতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা

শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাইকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রংপুর ব্যুরো

রংপুরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসার কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী আমেনা জীবন সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় আবু সাঈদের বড় দুই ভাইয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণেরও অভিযোগ উঠেছে ক্লিনিকের মালিকের বিরুদ্ধে। গত ১৮ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রংপুর নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় অবস্থিত জনসেবা ক্লিনিকে ঘটনাটি ঘটেছে।

অভিযোগে জানা যায়, আবু সাঈদের মামাতো ভাই সাজু মিয়া তার স্ত্রী আমেনা বেগমকে ৩৫ দিন আগে জনসেবা ক্লিনিকে ভর্তি করেন। তাদের বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার বড় ফলিয়া কাজীপাড়া গ্রামে। সেখানে তার জরায়ুর টিউমার অপারেশন করা হয়। কিন্তু অপারেশনের পর তাকে চারটি ট্যাবলেট ছাড়া আর কোনও ওষুধ দেয়া হয়নি। এমনকি ক্লিনিকের কোনও চিকিৎসকও রোগী দেখতে আসে নাই বলে স্বজনদের অভিযোগ।

বিষয়টি জানার পর সোমবার সন্ধ্যায় আবু সাঈদের দুই বড় ভাই রমজান আলী ও আবু হোসেন তাদের মামাতো ভাইয়ের স্ত্রীকে দেখতে ওই ক্লিনিকে যান। সেখানে জানতে পারেন, ক্লিনিকের মালিক ডা. মোসাদ্দেকুল ইসলামের ভুল চিকিৎসার শিকার হয়েছেন তিনি। তার জরায়ুর অপারেশন করার পর মূত্রথলিতে প্রস্রাব আটকে রাখতে পারছে না। এমন অবস্থায় আরও সমস্যা দেখা দেওয়ায় বিষয়টি জানতে ওই ক্লিনিকের ডা. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের সঙ্গে চরম খারাপ ব্যবহার করা হয়। এমনকি তাদের চেম্বার থেকে বের করে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়।

এ বিষয়ে আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী ও আবু হোসেন বলেন, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের ভুল চিকিৎসা ও অপারেশনের কারণে তাদের ভাবির অবস্থা সংকটাপন্ন। তারা এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন। সেই সঙ্গে রোগীর কিছু হলে এর দায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে বলেও জানান তারা।

এ বিষয়ে ক্লিনিকে মালিকের ছেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। এমনকি তিনি তার নামও বলতে রাজি হননি। তবে এক পর্যায়ে বলেছেন ক্লিনিকের মালিক ডা. মোসাদ্দেকুল ইসলাম তার বাবা, তিনি নিজেও চিকিৎসক।

বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত- এখানে বসে রোগী দেখেন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, নো কমেন্ট।

মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত আতাউর রহমান বলেন, ভুল চিকিৎসার কারণে একজন রোগী সংকটাপন্ন বলে খবর পেয়েছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ