শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
যৌথ বাহিনীর অভিযান: সারাদেশে আটক ২৯ জন কচুয়ায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও যুব মজলিসের নতুন কমিটি ঘোষণা কেবল নেতা পরিবর্তন করতে জুলাইয়ে ছাত্র-জনতা রক্ত দেয় নাই : শায়েখে চরমোনাই জুলাই চেতনার সাথে গাদ্দারি ইতিহাস ক্ষমা করবে না : নেজামে ইসলাম পার্টি  চাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্যানেল ঘোষণা হক্কানী আলেমদের পরামর্শে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জাতির জন্য কল্যাণকর: জমিয়ত আলোচনার মধ্যে কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল শনিবার ঢাকায় কচুয়ার উলামায়ে কেরামের মতবিনিময় সভা কুমিল্লার নূর মসজিদ মাদরাসায় একাধিক শিক্ষক নিয়োগ পিআর পদ্ধতি জনতা না চাইলে আমরাও আর দাবী করবো না: শায়েখে চরমোনাই

গাইবান্ধায় ছেলের সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদে বাবার মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধায় আট বছর বয়সী রামিম নামে এক সন্তানের সড়ক দুর্ঘটনার খবরে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে মারা গেছেন শিশুটির বাবা জিয়াউর রহমান জিয়া। শনিবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সকাল সাড়ে ৯টায় গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে দুর্ঘটনার কবলে পড়া শিশুটি।

এর আগে শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে সদর উপজেলার শাপলা মিল এলাকায় গাইবান্ধা-পলাশবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়ক পারাপারের সময় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শিশুটি। এ ঘটনার পর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নিজ বাড়িতেই মারা যান ওই শিশুর বাবা জিয়াউর রহমান।

৪৫ বছর বয়সী জিয়াউর রহমান জিয়া শাপলামিল সংলগ্ন হামিদ স্যানেটারির স্বত্বাধিকারী মরহুম আব্দুল হামিদের বড় ছেলে। এছাড়া তিনি গাইবান্ধা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের নিয়মিত সদস্য।

আহত শিশু রামিম গাইবান্ধার একটি বেসরকারি স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি মো. ময়নুল হক। তিনি মোবাইল ফোনে জানান, জিয়াউর রহমানের ছেলে রামিম শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাচ্ছিল। শাপলা মিল এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। এতে শিশুটির রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। এসময় স্থানীয়রা শিশু রামিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

পরে শিশুর বাবা জিয়াউর রহমান নামাজ শেষে মসজিদ থেকে আসার পথে ছেলের দুর্ঘটনার খবর শুনে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে যান। ততক্ষণে ছেলের শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শিশু রামিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এমন অবস্থায় রংপুর যাওয়ার জন্য টাকা ও কাপড় নিতে বাড়ি গিয়েই মারা যান জিয়াউর রহমান।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ