রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ৬ পৌষ ১৪৩২ ।। ১ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংকে ১২৭ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন বিনা টিকিটে রেলওয়ে ভ্রমণ, এক দিনেই ১৪ লাখের বেশি টাকা আদায় সৌদি আরবে এক সপ্তাহে প্রায় ১৮ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার ফয়সালের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রচার করা কৌশল হতে পারে: রফিকুল ইসলাম দীপু চন্দ্র ও শিশু আয়েশাকে পুড়িয়ে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ হেফাজতে ইসলামের রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে ভারতীয় আধিপত্যবাদের কবর রচিত হয়ে গেছে: পীর সাহেব চরমোনাই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে গ্রেপ্তার হান্নানের জামিন ওসমান হাদি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলেন : আইন উপদেষ্টা আল্লাহ আমাদের মক্কা ও মদিনার রক্ষক হওয়ার সম্মান দিয়েছেন : ফিল্ড মার্শাল মুনির

নড়াইলে ধানক্ষেতে মিলল শিশুর লাশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইলের নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের ধানক্ষেত থেকে ছয় বছরের শিশু হামিদা খানমের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রশি দিয়ে হাত বাঁধা অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত হামিদা পাকুড়িয়া গ্রামের সাহানুর শেখের মেয়ে। এর আগে ওই দিন (বৃহস্পতিবার) সকালে বাড়ির পাশ থেকে হামিদার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়া চিরকুট পেয়েছিল শিশুটির পরিবার।

পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হামিদার মা জ্বরে আক্রান্ত ছিল। ওই দিন দুপুরে হামিদা মায়ের কাছ থেকে আপেল নিয়ে বাড়ির পাশে সাথীদের সঙ্গে খেলতে যায়। দীর্ঘ সময় বাড়িতে না ফেরায় তার খোঁজ শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। এক পর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি পাশে ধানক্ষেতে হামিদার মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। রশি দিয়ে তার হাত বাঁধা এবং কচুরিপানা দিয়ে মরদেহ ঢাকা ছিল। এ ঘটনায় পরিবারসহ গ্রামবাসীর মাছে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে হামিদাদের বাড়ির পাশ থেকে হত্যার হুমকি দেয়া চিঠি উদ্ধার করে তার পরিবার।

হামিদার পরিবারের সদস্যরা জানান, গত বুধবার রাতে কে বা কারা হামিদাদের বাড়ির পাশে একটি চিরকুট ফেলে যায়। সেই চিরকুটে (চিঠি) ভুক্তভোগী সাহানুর শেখ এবং তার ভাইয়ের সন্তানদের হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল। পূর্বশত্রুতার জের ধরে যারা হত্যার হুমকি দিয়েছিল, তারাই হামিদাকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

ওই চিরকুটে লেখা ছিল- ‘তোরা যদি খুদ চালান দিস তাহলে মনে রাখবি, তোর সন্তানদের মধ্যে একজনকে হারাবি বা তোর ভাইয়ের মেয়েকে। এটা আমার শেষ কথা।’ চিঠির শেষে নিহত হামিদা ও শামিমার নাম লেখা ছিল।

স্থানীয়রা জানায়, এ এলাকায় কোনো ব্যক্তির কিছু হারালে, ক্ষয়ক্ষতি বা চুরি হলে, তা খোঁজার মাধ্যম হিসেবে ঝাড়ফুঁক দিয়ে ভাঙা চালভাজা (খুদ) সন্দেহভাজনদের খাওয়ানোর প্রথা চালু আছে। যা স্থানীয় ভাষায় ‘খুদ চালান’ বলে। আবার ক্ষুর (ধারালো অস্ত্র) চালান দেয়ারও প্রথা আছে। তাদের বিশ্বাস খুদ বা ক্ষুর চালানে দোষীকে সহজে শনাক্ত করা যায়।

সম্প্রতি হামিদাদের পরিবারে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অপরাধীদের ধরতে খুদ বা ক্ষুর চালান দিতে চেয়েছিলেন তারা। খুদ চালান ঠেকাতে হামিদাদের পরিবারে হত্যার হুমকি দিয়ে চিরকুট দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এমনটি জানিয়েছেন হামিদার পরিবার।

এ ব্যাপারে নড়াগাতি থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ