আমার পিতা হযরত মাওলানা সাইয়েদ আসাদ মাদানী ছিলেন ভারতীয় মুসলিমদের একজন নিবেদিত প্রাণ অভিভাবক। নিজের জীবন বাজি রেখে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষায় আমরণ কাজ করে গেছেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আমার বাবা অন্যতম পুরোধা ছিলেন। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে। কিন্তু দেওবন্দ এলাকায় হিন্দু-মুসলিম সমান জনগোষ্ঠী হওয়া পরও আজ পর্যন্ত কোন দিন হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা হয়নি। এই সুন্দর পরিবেশ এখনও বহাল আছে। তাইতো দলমত, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই তাঁকে উপাধি দিয়েছে ফিদায়ে মিল্লাত জাতির জন্য উৎসর্গিত)।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের সাবেক প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি হযরত মাওলানা সাইয়েদ আসআদ মাদানী রহ. এর জীবন ও কর্ম শীর্ষ আলোচনা সভা আন্তর্জাতিক ফিদায়ে মিল্লাত কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা বাহাউদদীন যাকারিয়া ও ফিদায়ে মিল্লাত ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা মাসরুর আহমদ। সম্মেলনটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, মুফতি নাছির উদ্দিন খান, মুফতি জাবের কাসেমী এবং মাওলানা সাইফুদ্দিন ইউছুফ ফাহিম।
মাওলানা সাইয়েদ মাহমুদ মাদানী বলেন, “আমার পিতা ফিদায়ে মিল্লাত মাওলানা সাইয়েদ আস‘আদ মাদানী (রহ.) ছিলেন দ্বীনের এক নিবেদিতপ্রাণ সৈনিক। ইসলাম, মুসলমান, দেশ ও উম্মাহর কল্যাণে তিনি সারা জীবন নিরলসভাবে কাজ করেছেন। নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, এমনকি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে দিল্লির রাজপথে মিছিলও করেছেন।”
মাওলানা মাদানী বলেন, বাংলাদেশের প্রতি আমাদের হৃদয়ের টান রয়েছে। আমার দাদা ইংরেজ খেদাও আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা হোসাইন আহমদ মাদানী রহ. চার বছর সিলেটে বোখারী শরিফে পাঠ দান করেছেন। আমার বাবার অনেক ভক্ত মুরিদ বাংলাদেশের রয়েছে। আমরাও বাংলাদেশে সময়ে আসি। এদেশে অনেক দেওবন্দ পড়ুয়া অনেক আলেম রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইসলামিক স্কলারদের উপস্থিতিতে আমরা তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন—
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান,মাওলানা আস‘আদ মাদানীর ছোট ছেলে মাওলানা মওদুদ মাদানী, জমিয়তে উলামা নেপালের মাওলানা খালেদ সিদ্দিকী এমপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, জমিয়তে উলামা পাকিস্তানের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল গফুর হায়দারী, মাওলানা ফয়সাল নাদিম পাকিস্তান, হাজী এমদাদুল্লাহ কাতিয়া, মুফতি শাহ সদরুদ্দিন (ইউরোপ), মাওলানা আলিমুদ্দিন দুর্লভপুরী, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা ড. শুয়াইব আহমদ, মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, মাওলানা গোলাম রব্বানী, মাওলানা রশিদ বিন ওয়াক্কাস, মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, মাওলানা তৈয়বুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা শেখ নূরে আলম হামিদী, মাওলানা জামিল আহমদ আনসারী, মুফতি মকবুল হোসাইন কাসেমী, মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী, মাওলানা লোকমান মাযহারী, মাওলানা শামসুল আরেফিন খান সাদী, মুফতি রেদওয়ানুল বারী সিরাজী, মাওলানা জয়নুল আবেদিন, মাওলানা আবুল হোসেন চতুলী ও মাওলানা আবির প্রমুখ।
এলএইস/