মুহাম্মাদ ইয়ামিন
মতিঝিলের শাপলা চত্তরে ইন্তিফাদা বাংলাদেশের আয়োজনে খুনি হাসিনার বিতাড়নের বর্ষপূর্তিতে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৫ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ১১টায় এই গণজমায়েত অনুষ্ঠানটি সকাল ১১ টায় কুরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর বক্তব্য রাখেন ইন্তিফাদার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
গণজমায়েত অনুষ্ঠানের এ আয়োজনে নেতারা বলেন, খুনি হাসিনা পালিয়েছে কিন্তু তার দোসররা এখনো বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয় রয়েছে। শেখ হাসিনার বিচারের সাথে সাথে তার দোসরদের চিন্থিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তারা আরো বলেন, আমরা বদরে রক্ত দিয়েছি, উহুদে রক্ত দিয়েছি, বালাকোটে রক্ত দিয়েছি, একাত্তরে রক্ত দিয়েছি এবং চব্বিশেও রক্ত দিয়েছি। বুকের তাজা রক্ত ঢেলে ২৪ - এ খুনি হাসিনার রেজিম থেকে দেশকে স্বাধীন করেছি আমরা কিন্তু রাস্ট্র ও তার কাঠামো আমাদের বারবার ঠকিয়েছে। আমাদের উপর জুলুম করেছে। আমরা আর জুলুমের স্বীকার হতে চাই না। বাংলাদেশের মুসলিম কওম পশ্চিমা আগ্রাসন ও ভারতীয় আগ্রাসনের জিঞ্জিরের বলয় থেকে চিরতরে মুক্তি চায়। তাই আমরা মনে করি ইসলামের আঙ্গিকেই কেবল দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব ও দেশের মানুষের জীবনে স্বস্তি আনা সম্ভব।
বক্তারা আরো বলেন, যেই জাতিসংঘ গাজার উপর ইজরাইলী গনহত্যা থামাতে পারে না সেই জাতিসংঘের কার্যালয় বাংলাদেশে হতে পারবে না। এ দেশে জাতীসংঘের কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যেমে মুলত আমেরিকান উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার পায়তারা করা হচ্ছে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাবো যাতে তথাকথিত জাতিসংঘের কার্যালয় বাংলাদেশে না হতে পারে।
এরই প্রেক্ষিতে আমাদের এ আয়োজন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কষ্ট স্বীকার করে আমাদের তৌহীদবাদী সাথীরা এসেছেন আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এমএইচ/