সমকামিতা, ট্রান্সজেন্ডার এবং থার্ড জেন্ডার ইস্যুতে দেশের মানুষকে সচেতন করতে ‘ফ্রেন্ডস অব হিউম্যানিটি’ এবং ‘পলিসি রিসার্চ ফাউন্ডেশন’-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘জেন্ডার ফিতনার কবলে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন হোটেল আশরাফীতে এই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ড. খন্দকার রাশেদুল হক। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন প্রফেসর ড. সরোয়ার হোসেন।
প্রধান আলোচক বলেন, ‘সমকামিতা ভাষা ও সংস্কৃতির আড়ালে বাংলাদেশে প্রচারিত হচ্ছে। এর পেছনে দেশেরই কিছু নীতিনির্ধারক কাজ করছে।’
তিনি আরও দাবি করেন, ‘বিশ্বজুড়ে সমকামিতাকে প্রতিষ্ঠা করতে জাতিসংঘ সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ রাষ্ট্রে এই মতবাদ বৈধতা পেয়েছে। এখন তারা মুসলিম দেশগুলোর দিকে নজর দিচ্ছে।’
ড. সরোয়ার বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, ‘উপমহাদেশে নেপাল প্রথম রাষ্ট্র যেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে সমকামিতা বৈধতা পায়। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের হাত ধরেই সেখানে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গত ২০ বছরে এলজিবিটি কর্মীরা এতদূর এগিয়ে গেছে যে, এখন আর শুধু সেমিনার যথেষ্ট নয়—রাজনৈতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলগুলোকে এখনই দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে ড. খন্দকার রাশেদুল হক বলেন, ‘এই বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে আরও বেশি লেখালেখি করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের পরিচিত মন্ত্রী, সচিব এবং রাজনৈতিক নেতাদের বিষয়টি জানাতে হবে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে পদক্ষেপ নিতে চাপ সৃষ্টি করতে হবে।’
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা।
এমএইচ/