বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫ ।। ১১ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মৃত ব্যবসায়ীর কবরে গিয়ে ক্ষমা চাইল জাপানি পুলিশ ও কৌঁসুলিরা গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা দিতে চাওয়ায় ৫ ডাক্তারকে বদলি করা হয়েছিল  গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ইসরাইলে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ কোনো অদৃশ্য শক্তি সরকারকে প্রভাবিত করছে : পীর সাহেব চরমোনাই গুলশানে কবি আল মাহমুদ পাঠাগার উদ্বোধন চাঁদাবাজি নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের প্রধান বাধা: ইসলামী আন্দোলন ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণার প্রথম দিনেই হিজাব পরিহিত নারী প্রার্থীদের প্রতি আক্রোশ বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের পদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত বিএনপির শোকজের দীর্ঘ জবাব দিলেন ফজলুর রহমান জুলাই শহীদ পরিবারে সরকারি অনুদান বণ্টনে নতুন বিধিমালা জারি

একাধিক মাদরাসায় হাদিস পড়ানো টিউশনি মাস্টারের মত : মুফতী জাফর আহমাদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| হাসান আল মাহমুদ ||

‘একাধিক মাদরাসায় হাদিস পড়ানোর বিষয়কে টিউশনি মাস্টারের মত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন রাজধানীর ঢালকানগরের পীর খ্যাত বিশিষ্ট আলেম বাইতুল উলুম ঢালকানগর মাদরাসার মুহতামিম মুফতি জাফর আহমাদ

তিনি বলেন, ‘আজকাল দেখা যাচ্ছে একজন মুহাদ্দিস ১৫ জায়গায় হাদিস পড়ান। এটা কি ‘কহতর রিজাল’, মুহাদ্দিসের অভাব! না হলে ১৫ জায়গায় কেন যাবে!  আমাদের আকাবিরিনদের যুগে কি এমন পদ্ধতি ছিল! হুসাইন আহমাদ মাদানী দশ জায়গায় পড়াতেন! আনোয়ার শাহ কাশ্মেরী বিশ জায়গায় পড়াতেন? আর এখন এটাকে গৌরবের জিনিস হিসাবে মনে করছে’।

‘কিন্তু বাস্তব কথা কথা হল যোগ্য আলেমের অভাব হয়ে গেছে। যার কারণে একজন যোগ্য পেলে ২০ জায়গায় পড়ান। বিশ মাদরাসা তাকে টানে। কিন্তু এর কারণে ক্ষতি যেটা হচ্ছে, এর পক্ষে আমি না। এটা তো টিউশনির মত হয়ে গেছে। একজন মানুষ যেমন দশ জায়গায় কুরআন পড়ানোর টিউশনি করে, আর এটা হচ্ছে হাদিস শরিফের টিউশন।;- যুক্ত করেন তিনি।

গত ২ জুন ২০২৪ রোববার সন্ধায় আওয়ার ইসলামের সঙ্গে ঢালকানগরে এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মুফতী জাফর আহমাদ    এই কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘বড় একজন আলেম এখন নেই। তিনি অনেক মাদরাসায় বুখারি পড়াতেন। আমি এক প্রোগ্রামে একাধিক মাদরাসায় পড়ানোর বিষয়টাকে টিউশনির সাথে আখ্যা দিলে তিনি আমার উপর রাগ করলেন। আমি বললাম, কেউ দশ জায়গায় কুরআন শরিফ পড়ালে টিউশনি মাসটার হতে পারলে হাদিস শরিফ দশ জায়গায় পড়ালে টিউশনি মাস্টার হবে না কেন! এ দুটার পদ্ধতি তো একই’।

মুফতী জাফর আহমাদ বলেন, ‘আপনি বিশ জায়গায় না পড়িয়ে এক জায়গায় পড়ান। ছাত্র গড়েন। লোক বানান। আমাদের হাদিস শরিফের পরিভাষায় ‘কাসরাতে মুলাযামাত’ নামে একটা বিষয় আছে। অর্থাৎ একজন শাগরেদ এক উস্তাদের দীর্ঘ দিন সোহবত নিবে। আরেকজন অল্প সময়ে সোহবত নিয়েছে। এই দুজনের রেওয়াতের ভিতরে যদি ইখতিলাফ হয়, তাহলে তারজিহ (প্রাধান্য) কার? কাসরাতে মুলাযামাতের। যে বেশি উস্তাদের সোহবত নিয়েছে তার ’।

তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা কেন? সোহবতের কারণেই তো। তো, এই যে, যে উস্তাদে বৎসরে একবার, ৬ মাসে একবার, মাসে একবার পড়াতে যান, মাদরাসার অফিসে যান, খাবারদাবার খান সবকে ঢুকেন তারপর গাড়িতে ওঠে চলে যান। তো, এটার কারণে কি উস্তাদের রং ছাত্রের ভিতরে আসে? আজকাল এসব কারণে উস্তাদের রং ছাত্রের ভেতর না আসার এটাও অন্যতম কারণ। যার কারণে আজ মানুষ সৃষ্টি হচ্ছে না’।  

তিনি বলেন, ‘এখন এই যে, যে দশ জনে পুরো ঢাকাকে ক্যাপচার করছে, মাদরাসায় মাদরাসায় হাদিস পড়াচ্ছেন, বুখারি পড়াচ্ছেন এই দশ জন মরে গেলে কি হবে! দেখা যায়, এক শাইখুল হাদিস মারা গেছেন তো ১৫ মাদরাসার শাইখুল হাদিস খতম হয়ে গেছে’।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ