শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ১২ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া জাতির সংকট নিরসন সম্ভব নয়: মাওলানা জালালুদ্দিন ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় রাসূলের সীরাতের বিকল্প নেই ইসলামকে ক্ষমতায় নেয়ার জন্য নারী সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে: পীর সাহেব চরমোনাই রাজনগরে ইসলামী যুব মজলিসের কমিটি পুনর্গঠন সম্পন্ন ইসলামী ছাত্র মজলিস জালালাবাদ থানার বার্ষিক সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত লাউতায় জমিয়তের প্রার্থী হাফিজ মাওলানা ফখরুল ইসলাম এর সমর্থনে উঠান বৈঠক রেনেসাঁ ইসলামী সংসদ মৌলভীবাজারের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন শীলনের শানে রেসালাত কবিতা উৎসব উদযাপিত হাস্সান বিন সাবেতের প্রেরণায় কবিতা চর্চার আহ্বান জুমার নামাজ পড়াতে যাওয়ার পথে প্রাণ গেল ইমামের জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আইনগত কোনো বাধা নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল

যুবসমাজের জন্য মুফতী হাফীজুদ্দীনের দাওয়াতি আহ্বান


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

বুধবার ১৩ আগষ্ট বিকেলে রাজধানীর চৌধুরীপাড়া ঝিলপাড় “গ্যারেজ পট্রি” এলাকায় এক ভিন্ন আবহে ভরে ওঠে। সেখানের স্থানীয় যুবক জনাব আল আমিন ও তার সাথী সঙ্গীদের উদ্যোগে শতাধিক যুবকের মিলনায়নে আয়োজন করা হয় বিশেষ দাওয়াতী সমাবেশ। তাতে মূল আলোচক ছিলেন বাংলাদেশের দাওয়াতী অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফতী হাফীজুদ্দীন সাহেব দা.বা.। যিনি শুধু একজন বরেণ্য আলেমই নন, বরং যুবসমাজের হৃদয়ের গভীরে পৌঁছে তাদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার এক নিবেদিতপ্রাণ আলেমেদ্বীন।

মাদানী মজলিস বাংলাদেশ এর সভাপতি শায়খ মুফতী হাফীজুদ্দীন সাহেব দা.বা. এর দাওয়াতী জীবনের বিশেষ লক্ষ্য হলো - শহর থেকে বান্দরে, দেশের সীমান্তবর্তী পার্বত্যাঞ্চলে, গ্রাম বাংলার পথে ঘাটে, শহরের অলি-গলিতে, এমনকি সমাজের অন্ধকার প্রান্তেও গিয়ে যুবকদের হাতে কুরআন ও সুন্নাহর আলো তুলে দেওয়া। যুবকদের জীবনের বিপথগামী প্রবণতা থেকে ফিরিয়ে এনে দ্বীনের পথে স্থির করা।

তিনি বলেন, এসব প্রত্যন্ত অঞ্চলে কেউ তো আসতে চায় না, আমি অধম না হয় আসলাম ! । আমার দ্বারা যদি দুজন মানুষও কিছু শিখতে পারে এতেই আমার জন্য বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার !

চৌধুরীপাড়া, ঝিলপাড়ে বয়ানের শুরুতেই শায়খ সমসাময়িক এক মর্মান্তিক সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন , “আমরা বর্তমান জামানায় যারা যুবক আছি, তারা অনেক সময় পারিবারিক, অর্থনৈতিক বা ব্যক্তিগত নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে হতাশ হয়ে পড়ি এবং আত্মহত্যার মতো ভয়ংকর পথ বেছে নেই। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়, গর্হিত পাপ ও মন্দ কাজ। কুরআন-হাদীসে আত্মহত্যার ব্যাপারে কঠোর শাস্তির ঘোষণা রয়েছে। তাই আমরা ভুলেও এ ধরনের মন্দ সিদ্ধান্ত নেব না।”

এরপর তিনি যুবকদের জীবনের দিকনির্দেশনা দিতে তিনটি বিষয়ে দৃঢ় অঙ্গীকার নেন। ১.কখনো নামাজ ছাড়ব না। ২. ওলামায়ে কেরামদের সাথে সম্পর্ক রাখব। ৩. বিভিন্ন ছুটির সময়ে নিজের শায়খ অথবা আল্লাহর রাস্তায় তাবলীগে সময় দিব।

তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, “যদি আমরা যুবকরা বর্তমান এই ফেতনার জামানায় এই তিনটি কাজ করতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য দ্বীনের উপর চলা সহজ হয়ে যাবে।”

এ এলাকার যুবকদের নিয়ে শায়খের এই মেহনত কেবল একটি বয়ানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি পুরো সমাজের জন্য একটি গভীর বার্তা ও দিকনির্দেশনা। যুবকরাই একটি জাতির প্রাণশক্তি, তাদের হাতে ভবিষ্যতের হাল ধরা থাকে। যদি এই তরুণ প্রজন্ম দ্বীনের আলো থেকে বঞ্চিত হয়, তবে তাদের অন্তরে অন্ধকার ছেয়ে যাবে, আর সেই অন্ধকার ধীরে ধীরে পুরো জাতির উপর নেমে আসবে।

তাই যতক্ষণ পর্যন্ত ওলামায়ে কেরাম নিজেদের স্বাচ্ছন্দ্যের গণ্ডি পেরিয়ে শহরের প্রান্তিক এলাকা, অলি-গলি, গ্যারেজপট্টি কিংবা প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে যুবকদের হাতে কুরআন ও সুন্নাহর আলো তুলে দেবেন, ততক্ষণ এই জাতির ভবিষ্যৎ আলোকিত থাকবে। কারণ একজন সত্যনিষ্ঠ আলেমের স্পর্শে হতাশ হৃদয় জেগে ওঠে, পথভ্রষ্ট মন ফিরে আসে, আর যুবকেরা পরিণত হয় দ্বীনের রাহবার ও সমাজের কল্যাণকামী শক্তিতে। ও সমাজের কল্যাণকামী শক্তিতে।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ