শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ৪ পৌষ ১৪৩২ ।। ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
মাদানীনগর মাদ্রাসায় দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ইসলাহী জোড় শুরু প্রতিদিন হুমকি-ধমকি আসছে, মেরে ফেলবে বলে ভয় দেখাচ্ছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ বেড়াতে এসে পুকুরে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হাদিকে ‘সাচ্চা দেশপ্রেমিক’ অ্যাখ্যা দিলেন জামায়াত আমির  কখন কোথায় হবে হাদির জানাজা, জানা গেল শরিফ ওসমান হাদির আত্মার মাগফেরাত কামনায় শুক্রবার দোয়া ও প্রার্থনা আয়োজনের অনুরোধ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের  পত্রিকা অফিসে হামলার তীব্র নিন্দা মির্জা ফখরুলের ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা এবার হান্নান মাসউদকে হত্যার হুমকি ঢাবিতে বঙ্গবন্ধু হলের নাম বদলে হাদির নাম দিলেন হল সংসদ নেতারা

চরমোনাই পীরের উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু ৯৯তম ফাল্গুনের মাহফিল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হলো ৯৯তম চরমোনাই বার্ষিক ফাল্গুনের মাহফিল।

তিনদিন ব্যাপী এই মাহফিলের উদ্বোধনী বয়ানে চরমোনাই পীর বলেন, চরমোনাই মাহফিল দুনিয়াবি উদ্দেশ্যে নয় বরং পথভোলা মানুষকে আল্লাহর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যই এই মাহফিল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সুতরাং এখানে দুনিয়াবি কোনো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আসার প্রয়োজন নেই। যদি এমন কেউ এসে থাকেন তবে নিয়ত পরিবর্তন করে আত্মশুদ্ধির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।

আজ বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জোহরের নামাজের পর চরমোনাই মাদরাসার মূল মাঠসহ মোট ৬টি মাঠ নিয়ে অনুষ্ঠিত চরমোনাইর বার্ষিক মাহফিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি বলেন, যারা চরমোনাইতে নতুন এসেছেন, তারা দুনিয়ার ধ্যান-খেয়াল বিদায় করে দিয়ে আখেরাতের খেয়াল-ধ্যান অন্তরে যায়গা দেন। দিল থেকে বড়ত্ব এবং আমিত্ব ভাব বের করে দিয়ে আল্লাহর কুদরতি পায়ে নিজেকে বিলীন করে দিতে হবে। সদা-সর্বদা আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে দিলকে তরতাজা রেখে আল্লাহর ওলী হয়ে চরমোনাই থেকে বিদায় নেয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে।

পীর সাহেব চরমোনাই তাঁর উদ্বোধনী বয়ান শেষে মাহফিলের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা করেন।

এ বছর মাহফিলে ভারতের দেওবন্দ, সৌদিআরব ও পাকিস্তানের ওলামায়ে কেরাম অংশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করবেন বলে জানা যায়। গতকাল মধ্যরাতে আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতুল কওমিয়া বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান ও বেফাকের সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান চরমোনাই মাদরাসায় উপস্থিত হয়ে মাহফিলের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নেন এবং প্রয়োজনের পরামর্শ প্রদান করেন।

জানা যায়, মাহফিলে আগত মুসল্লীদের ৬,০০০ হালকায় বিভক্ত করে হাতে-কলমে সালাত ও ইসলামের বুনিয়াদি বিষয়ে বাস্তব প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।মাহফিলে আগত মুসল্লীদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ১০০ শয্যা বিশিষ্ট অস্থায়ী মাহফিল হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। এতে ১১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে আরো ৪০ জন চিকিৎসকের সমন্বয়ে চিকিৎসা সেবা পরিচালিত হচ্ছে। ৬ টি এ্যাম্বুল্যান্স ও ১ টি স্পীড বোর্ড মাহফিল হাসপাতালে কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে। মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীকে মাহফিল হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য নিযুক্ত রয়েছে বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। ছয়টি মাঠে মাহফিলের শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত করা হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী।

আগামী শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৮.৩০টায় আখেরি বয়ান ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী বিশাল এ মাহফিলের কার্যক্রম সমাপ্ত হবে।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ