শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ৫ পৌষ ১৪৩২ ।। ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
শরীফ ওসমান হাদিকে নিয়ে শিল্পী আবু উবায়দার নতুন গান শহীদ ওসমান হাদির শেষ গোসল দেবে আল-মারকাজুল ইসলামী নূরানী বোর্ডের ফল প্রকাশ ও স্কলারশিপের ঘোষণা অনুষ্ঠান শুরু ওসমান হাদির জানাজা ঘিরে ১ হাজার ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’সহ কঠোর নিরাপত্তা ওসমান হাদির জানাজায় দলে-দলে অংশগ্রহণ করুন: জামায়াত আমির সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে স্বাগত জানাল সিরিয়া শহীদ হাদিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, বরখাস্ত হলেন অধ্যাপক তাজিন আফরোজ হাদির মৃত্যুতে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে পোস্ট, যুবক গ্রেপ্তার জুমায় আট দলের বিরুদ্ধে বয়ান, হট্টগোল শহীদ হাদির জানাজায় যোগ দিতে সবার প্রতি আহ্বান হেফাজতের

বেসরকারি স্কুল-কলেজে ৮০ শতাংশ অর্থ দেয় সরকার : শিক্ষামন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন সারা দেশে বেসরকারি পর্যায়ে প্রায় ২০ হাজার স্কুল-কলেজ রয়েছে। তার মধ্যে ১৮ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত। এসব প্রতিষ্ঠানের ৮০ শতাংশ অর্থ সরকারিভাবে অনুদান দেওয়া হয়। সুতরাং ইউনেসকো যেসব সমস্যা তুলে ধরেছে সরকার সেগুলো নিয়ে কাজ করছে।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ইউনেসকোর ‘গ্লোবাল অ্যাডুকেশন মনিটরিং রিপোর্ট ২০২২’-এ দেশের শিক্ষা খাতের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরার পর নিজের বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

দীপু মনি বলেন, স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে হয়রানি ও ভর্তিযুদ্ধ বন্ধ করতে আমরা লটারি পদ্ধতি চালু করেছি। গত দুই বছর ধরে লটারির মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করা হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষার সময় এক ধরনের যুদ্ধ সৃষ্টি হয়। এর মাধ্যমে শিশুদের মনে আঘাত আসলেও অভিভাবকরা তাতে নজর দিতেন না। এসব বিবেচনা করে ভর্তি কার্যক্রম ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে আনা হয়েছে। সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির জন্য বড় ধরনের চাপ থাকে। অথচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সুন্দর ভবন, বড় অবকাঠামো ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক থাকলেও সেখানে ভর্তির জন্য সকলের আগ্রহ কম থাকে।

ইউনেসকোর প্রতিবেদনে এমপিওভুক্তির ব্যাপারে অনিয়ম-দুর্নীতির কথা তুলে ধরা হয়েছে। তবে গত দুই বছর ধরে এ খাতে কোনো অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী। যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আওতায় এসে সেগুলোকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। কোনোটি পিছিয়ে গেলে সেগুলোকে সহযোগিতা করে এগিয়ে আনা হচ্ছে। বারবার চেষ্টার পরও যদি কোনোটি পিছিয়ে পড়ে তবে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আমরা সবাইকে স্কুলে আনার প্রতি জোর দিয়েছিলাম। ২০১৮ সাল থেকে শিক্ষার মানের দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কোন স্তরে কি ধরনের মান হওয়া প্রয়োজন তা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। তার আলোকে নতুন কারিকুলাম তৈরি করা হয়েছে। চলতি বছর থেকে সেটি কার্যকর করা হচ্ছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের সব ক্লাসে সেটি বাস্তবায়ন করা হবে। করোনায় অনেক শিশুর মধ্যে মানসিক আঘাত তৈরি হয়েছে। মানসিক সুস্থতায় সারাদেশের দুই লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তার ক্লাসে শিক্ষার্থীদের এ আঘাত কাটিয়ে তুলছেন। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।

বিগত ১২ বছর ধরে শিক্ষা আইন ঘোরাফেরা করলেও সেটি চূড়ান্ত হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিপরিষদ থেকে সংশোধন দিয়ে আমাদের কাছে পাঠালেও সেটি করে আমরা আবারও পাঠিয়ে দেই। নতুন করে আবারও কিছু সংশোধন করতে পাঠানো হয়েছে। সেটি করে আবারও পাঠানো হবে। আমাদের শেখানোর পদ্ধতিতে ভুল আছে বলেই ১২ বছর ইংরেজি পড়লেও তা সঠিকভাবে শিখতে পারছে না। তাই পড়ানোর পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মনিটরিং ও তদন্ত কাজ বাড়াতে আমাদের অধিনস্থ পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরকে দুইটি ভাগ করে কাজের গতি বাড়ানো হচ্ছে।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ