বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১৩ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
আফগান শান্তি আলোচনা ভেঙে যাওয়ার কারণ ভারত: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অবৈধ মোবাইলের ব্যবহার বন্ধ করতে চালু হচ্ছে এনইআইআর সিস্টেম ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বিমানের সফল উড্ডয়ন বাংলাদেশে সৌদি সরকারের পাঠানো কোরবানির মাংস বিতরণ শুরু ‘জুলাই সনদ পাস না হলে শহীদদের আত্মত্যাগ ব্যর্থ হবে’ এআইতে মানুষের অংশীদারত্বই হবে সবার মূল শক্তি: লিংকডইন সিইও জামিয়া দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুজালা ও আবনা সম্মেলন কাল প্রান্তিক মানুষদের পাশে বিত্তশালীদের দাঁড়ানোর আহ্বান ধর্ম উপদেষ্টার নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হবে, সতর্ক থাকুন: প্রধান উপদেষ্টা মাদরাসা শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান, আহত ১৫

“গ্রামকে শহর বানাতে যাবেন না”

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: গ্রামকে শহর বানাতে যাবেন না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বলেছেন, আমাদের একটি ধারণা রয়েছে যে, গ্রামকে শহর বানাতে হবে। সংবিধানের ১৬ নং অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেননি যে, গ্রামকে শহর বানাতে হবে। সুতরাং সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ, গ্রামকে শহর বানাতে যাবেন না।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর এবং ফেডারেল ইন্সটিটিউট ফর জিওসায়েন্সেস অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোসের্স (বিজিআর), জার্মানি কর্তৃক আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

নসরুল হামিদ বলেন, ভোলায় আমাদের সব থেকে বড় অবকাঠামো হচ্ছে। আমরা সেখানে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য খনন করেছি। এছাড়াও মাতারবাড়ির বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সময় ল্যান্ড ডেভলেপমেন্টের জন্য ২০০ কোটি ডলার অতিরিক্ত খরচ কর‍তে হয়েছে। কারণ জিও ইনফরমেশন পাওয়ার পর বুঝতে পারলাম পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের জন্য এ জায়গাটা খুবই দুর্বল। সুতরাং যে কোনো অবকাঠামো তৈরি করার সময় ওই স্থানের জিও ইনফরমেশন জানা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, আমরা যদি পুরো দেশের ডিটেইল মাস্টারপ্ল্যান করতে চাই, কোথায় কৃষি অঞ্চল হবে, কোথায় ডেভেলপমেন্ট হবে, নদী-খাল বিলগুলোকে কিভাবে ব্যবহার করতে হবে, সে দায়িত্ব কিন্তু ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরকেই গ্রহণ করতে হবে। ভূপৃষ্ঠের নিচের অনেক আবিষ্কার জিএসবি করেছে। দেশের নদীতীরের বালিতে অনেক খনিজ সম্পদের সম্ভবনা রয়েছে। জিএসবি এখন যমুনা ও ব্রক্ষ্মপুত্রের নদীর বালু নিয়ে কাজ করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নগরায়ন কিন্তু ধীরে ধীরে ছড়িয়ে যাচ্ছে। নীচু জমিগুলো ভরাট করে প্লট বানানো হচ্ছে। কিন্তু সেখানে কি জিও ইনফরমেশন রিপোর্ট নিয়ে কাজ করা হয়েছে? আমি মনে করি, দেশে যে কয়টি অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে, সব ক্ষেত্রে জিএসবির জিও ইনফরমেশন রিপোর্ট নিয়ে কাজ করা উচিত।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ