সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ৬ পৌষ ১৪৩২ ।। ২ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংকে ১২৭ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন বিনা টিকিটে রেলওয়ে ভ্রমণ, এক দিনেই ১৪ লাখের বেশি টাকা আদায় সৌদি আরবে এক সপ্তাহে প্রায় ১৮ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার ফয়সালের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রচার করা কৌশল হতে পারে: রফিকুল ইসলাম দীপু চন্দ্র ও শিশু আয়েশাকে পুড়িয়ে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ হেফাজতে ইসলামের রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে ভারতীয় আধিপত্যবাদের কবর রচিত হয়ে গেছে: পীর সাহেব চরমোনাই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে গ্রেপ্তার হান্নানের জামিন ওসমান হাদি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিলেন : আইন উপদেষ্টা আল্লাহ আমাদের মক্কা ও মদিনার রক্ষক হওয়ার সম্মান দিয়েছেন : ফিল্ড মার্শাল মুনির

‘এইচএসসি বাংলা পরীক্ষায় ধর্মীয় উস্কানী ও বিদ্বেষ ছড়ানো বন্ধ করুন’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: এ বছরের এইচএসসি বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্রণীত প্রশ্নপত্র ধর্মীয় সংবেদনশীলতাকে ক্ষুণ্ণ করেছে। যা রীতিমতো ধর্মীয় উসকানির শামিল। এধরনের বিদ্বেষ ছড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।

এ পত্রের একটি প্রশ্ন হলো-‘নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ-বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ।

এখন জমির ভাগ বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙ্গে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।’

আজ এক বিবৃতিতে মহাসচিব বলেন, দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও অসাম্প্রদায়িকতা শিক্ষার পরিবর্তে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। কার স্বার্থে? তিনি বলেন, দেশের বাস্তবিক চিত্রও এমন নয়। ধর্মীয় নানা উৎসবে দল-মত নির্বিশেষে এ দেশের মানুষ সবাই অংশগ্রহণ করে। পাবলিক পরীক্ষায় অমূলক প্রসঙ্গ টেনে ধর্মীয় উসকানি দেওয়া হয়েছে। এতে সমাজে বিদ্বেষ ছড়িয়ে পরবে।

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ধর্মকে মুখোমুখি করা হয়েছে। মুসলমানের কাছে জমি বিক্রি করে দেশ ত্যাগ করছে-এ সমস্ত তথ্য সমাজে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে। তিনি বলেন, শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবতাবোধ বাড়ানো। তা না করে ধর্মকে সামনাসামনি করে ধর্ম বিশ্বাসকে আঘাত করা হয়েছে। এমন প্রশ্ন ধর্মীয় উসকানি ও বিদ্বেষপূর্ণ।

তিনি বলেন, বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে শিক্ষা সিলেবাসে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কী শিখছে? ইসলাম ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টি এবং ইসলামের বিধি-বিধান সম্পর্কে কি ধারণা দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী দায়িত্বে আসার পর থেকেই সুপরিকল্পিতভাবে ইসলাম ও মুসলমানের বারোটা বাজানোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী এ বছর দূর্গা পূজা মণ্ডপে গিয়ে বলেছিলেন ‘সনাতন ধর্ম ইসলাম ধর্মের চেয়ে ভাল’। যে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ইসলামের চেয়ে সনাতন ধর্ম ভাল, তার থেকে ইসলামের স্বার্থ রক্ষা করা কিভাবে সম্ভব?
তিনি বলেন, ভারতের মোদির সংষ্কৃতি ও আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষে একটি চক্র মাঠে নেমেছে। তিনি এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা ১ম পত্রে কারা কিভাবে এধরনের প্রশ্ন করে মুসলমান ও ইসলামের বিধান নিয়ে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে তাদের খুজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় সারাদেশে প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়বে।

মহাসচিব শিক্ষা সিলেবাস নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আগামী ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জমায়েতে শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে অনুষ্ঠিতব্য গণমিছিল সফলের জন্য সর্বস্তরের জনতার প্রতি আহ্বান জানান।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ