শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ।। ১৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
৪০ সেকেন্ডের ঝটিকা মিছিল শেষে কারাগারে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ১২ নেতাকর্মী ‘যথেষ্ট সফলতা আছে, তবে ১৫ বছরের জঞ্জাল ১৫ মাসে পরিষ্কার করা যায় না’ ব্যাংকগুলোতে ক্যাশ নেই, চরম ভোগান্তিতে গাজার মানুষ বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগের বিরুদ্ধে ইসরাইলে ব্যাপক বিক্ষোভ শ্রমিকবান্ধব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে : মাওঃ আব্দুল আউয়াল দেশের সর্ববৃহৎ সিরাত প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত ‘যারা ভোটের জন্য বেহেশতের টিকিটের কথা বলে বেড়ায় তাদের থেকে সাবধান’ ঝটিকা মিছিল করতে গিয়ে গ্রেপ্তার আ.লীগের তিন হাজার নেতাকর্মী ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মহাসড়কে নামাজ আদায় নভেম্বর থেকে নতুন পোশাক পাচ্ছে মহানগর পুলিশ

ওষুধে ভেজালকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ওষুধ ভেজালকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, দ্বিতীয়ত- যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, তৃতীয়ত- ১৪ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক। তিনি জানান, স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট ১৯৭২-এ এ ধরনের শাস্তি রয়েছে।

আজ রোববার (৬ নভেম্বর) সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য বেগম লুৎফুন নেসা খানের ভোজাল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাতকরণে শাস্তির বিষয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বাজারে ভেজাল ওষুধ বিক্রি হওয়ার কথা স্বীকার করে জাহিদ মালিক বলেন, ভেজাল ওষুধ তৈরি এবং বাজারজাত করা হয় সেটা আমরাও জানি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়, একদম হয় না তা বলবো না। আমাদের দেশে প্রায় ৯৮ শতাংশ ওষুধ তৈরি হয় এবং প্রায় ৬৩টি দেশে তা রপ্তানি করা হচ্ছে। তবে, ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করে থাকে ওষুধ প্রশাসন। ওষুধ প্রশাসনের অনেক ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে, যাতে কেউ নকল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করতে না পারে।

তিনি বলেন, ওষুধে ভেজাল হলে রোগী মৃত্যুমুখে পতিত হবে তো বটেই। শুধু তাই নয়, তার কিডনি ফেলিওর পর্যন্ত হতে পারে, নানাধরনের সমস্যা দেখা দেবে। এসব প্রতিরোধে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন— এরই মধ্যে ওষুধে ভেজালকারীদের অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করে ‘দি ড্রাগস অ্যাক্ট-১৯৪৮, ড্রাগস অর্ডিনেন্স-১৯৫৮ রোহিতকল্পে ওষুধ আইন-২০২২ এ একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। যা মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। যা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এ আইনে যে ধারাগুলো রয়েছে— যারা লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ উৎপাদন করবে তাদের ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা। লাইসেন্স ছাড়া ইন্টারনেটে বা যেকোনোভাবে ওষুধ বিক্রি করে তার জন্য ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা আছে। আর যদি লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ আমদানি করে তার জন্য ১০ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। যাতে নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরি না হয়, বিক্রি করতে না পারে।

এছাড়া ড্রাগ কোর্টে অব অর্ডিনেন্স-১৯৮২ অনুরূপ জেলা ও দায়রা জজ এবং ওষুধ আদালতের সমন্বয়ে ৬২টি ধারা সমন্বতি করা হয়েছে— সেখানে তাদের বিচার করা হচ্ছে। এরই মধ্যে যেসব ওষুধ প্রশাসন দ্বারা ড্রাগ আদালতে ১০১টি, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩০০টি, ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রায় আট হাজার মামলা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা, কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ২০০ জনকে। ওষুধ জব্দ করা হয়েছে প্রায় ৮০ কোটি টাকার।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওষুধ প্রশাসনকে শক্তিশালী করার জন্য জনবল কাঠামো বাড়িয়ে ৩০০ থেকে এক হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় ড্রাগ পরিদর্শক আছেন— তারা এগুলো সবসময় পর্যবেক্ষণ করছেন। ফার্মেসিগুলো ভিজিট করছেন। ওষুধের মাননিয়ন্ত্রণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনাসহ বেশ কয়েকটি শহরে ল্যাব আছে। সেখানে বাজার থেকে ওষুধ এনে পরীক্ষা করা হয়। অ্যালোপ্যাথি ওষুধ বাদে অন্য ওষুধ (যেমন- হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ ও ইউনানিসহ সব ওষুধ পরীক্ষা ও মাননির্নয় করা হয়। এ বিষয়ে ভেজাল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সেখানে আড়াই লাখ মামলা ও ১৩৬ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে ভেজাল ওষুধ তৈরির জন্য ২০টি কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। তবে ভোজাল ওষুধ তৈরি, বিক্রি, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি, ভেজাল ওষুধ আমদানি করা না হয় তার জন্য আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ