সোমবার, ০৬ মে ২০২৪ ।। ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫


আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কেমন চাই সে বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে এখনই!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| সাইমুম সাদী ||

একজন তুর্কি আলেম বলেন, তুরস্কের পথেঘাটে নির্লজ্জ বেহায়াপনা ও ইসলামী কালচার বিরোধী কার্যক্রম দেখে নিরাশ হবেন না মুহতারাম। আমরা আমাদের শিশুদের জন্য দ্বীনি শিক্ষার যে ব্যবস্থা করেছি তার প্রভাব দশ বছর পর দেখতে পাবেন ইনশাআল্লাহ।

১৯৫৬ বা ৫৭ সালে মুফাক্কিরে ইসলাম মরহুম আলী মিয়া নদভী রাহিমাহুল্লাহ ইস্তাম্বুল সফরে গেলে একজন আলেম এমন কথাই বলেছিলেন।

তুরস্কের আলেমরা আসলেই এমন একটা শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেছিলেন তার রেজাল্ট আজকের তুরস্ক এবং তার জনগন।
তারা অগনিত হিফজুল কুরআন মাদ্রাসাকে দ্বীনি জাগরণের একটা সুদৃঢ় রাজপথ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। স্কুল ও ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের জন্য অগনিত ছাত্রাবাস বানিয়েছিলেন যেখানে নামমাত্র মূল্যে থাকা খাওয়া ও পড়ার ব্যবস্থা ছিলো। শর্ত ছিলো প্রতিদিন কুরানিক ক্লাসে কিছু সময় বসতে হবে। অগনিত শব্দটা কথার কথা নয়, প্রায় বিশ হাজার ছাত্রাবাস, কমবেশি হবে হয়ত।

তারা এমনকি যেসব মেধাবী ছাত্র বিদেশে পড়াশোনার জন্য যেত তাদেরকেও আর্থিক ও অন্যান্য সহযোগিতা করতেন। এই ছাত্ররা দেশে ফিরে দেশ, দ্বীন ও জনগনের জন্য কাজ করত।

আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কেমন হবে? আপনি খোজ নিলে দেখবেন, নার্সারি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত দ্বীন শেখার সুযোগ খুবই সীমিত কিংবা নামমাত্র। যুবকদের মধ্যে ইসলামী চেতনা যা আছে তা মূলত ইসলামী সংগঠন, মাদ্রাসা, তাবলিগ জামায়াত এবং ওয়াজ মাহফিল ও সাহিত্যের প্রভাব।

অথচ আমরা চাইলেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কিছু কাজ করে যেতে পারি। সবাই মিলে সাপ্লিমেন্টারী ইসলামিক এডুকেশন সিস্টেম তৈরি করতে পারি৷ এই ক্ষেত্রে কোন বাধা আছে বলে মনে হয় না আপাতত।

আজ থেকে দশ বিশ বছরের পরের বাংলাদেশকে কিভাবে দেখতে চাই তার পরিকল্পনা এখনই নিতে হবে৷ যদি চাই তাহলে।
জাতীয় শিক্ষার নিদারুণ ব্যার্থতায় ইসলামী শিক্ষা পদ্ধতির ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই সম্ভাবনাময় জমিনে চাষবাস করার দায়িত্ব আমাদের। আমাদের মুফাক্কিরে কওমদের চিন্তা করার ও উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ করছি।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ