শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ ।। ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৭ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
দিবালোকে পাথর মেরে হত্যায় সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জমিয়তের মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি ছাত্র জমিয়তের মসজিদে ঢুকে খতিবকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা আলমডাঙ্গায় আল মাহমুদের জীবন ও সাহিত্য বিষয়ক আলোচনাসভা ঝিনাইদহে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিএনপি’র সমাবেশ ও বিক্ষোভ ‘চাঁদা না পেয়ে পাথর মেরে মানুষ হত্যায় পুরো জাতি স্তম্ভিত’ বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম যুগপূর্তি উৎসব ও দেয়ালিকা-ম্যাগাজিন প্রদর্শনী-২০২৫ নব্য হায়েনাদের তাণ্ডবে রক্তাক্ত বাংলাদেশ! পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যা: প্রতিবাদে উত্তাল ঢাবি পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যা: ২ জন রিমান্ডে

তুরস্কের খ্যাতনামা আলিম ও বুজুর্গ, আধ্যাত্মিকনেতা শায়েখ মাহমুদ আফেন্দির ইন্তেকাল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: তুরস্কের খ্যাতনামা আলিম ও বুজুর্গ, আধ্যাত্মিকনেতা শাইখ মাহমুদ আফেন্দি ইন্তেকাল করেছেন ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

তুরস্কে তিনি আলিম-ওলামাসহ সকল দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছে অত্যন্ত সম্মানিত ও প্রিয়ভাজন ছিলেন। তাঁর ইন্তেকালে অপুরণীয় ক্ষতি হলো, যা সহজে পুরণ হবার নয়। তিনি দীনের বহুমুখি খেদমত আঞ্জাম দিয়ে গেছেন। মহান রব্বুল আলামিন দীনের এ মহান বুজুর্গের সকল নেকআমলকে কবুল করে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন, আমীন।

২০১৩ সালে শায়খুল ইসলাম শায়খ মাহমুদ আফেন্দিকে তুর্কিতে দ্বীনি শিক্ষা প্রচার প্রসারে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘ইমাম কাসেম নানুতবি এওয়ার্ড’ দিয়ে পুরষ্কৃত করা হয়। তুরস্কে অনুষ্ঠিত আলেমদের এক সম্মেলনে সায়্যিদ আরশাদ মাদানি হা.ফি. বলেন, শায়খ মাহমুদ আফেন্দি হলেন তুর্কির কাসেম নানুতবি।

দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মাওলানা কাসেম নানুতুবি রহ. যেভাবে উলামায়ে কেরামের একটি বিশাল বিপ্লবী কাফেলা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন, তা হলো, যেহেতু দেশের জনগণ ও স্থানীয় প্রশাসন- দুটোই ইসলাম থেকে শত ক্রোশ দূরে সরে গেছে, কাজেই সেক্যুলার প্রশাসনের বিরুদ্ধে শতভাগ বিদ্রোহে না গিয়ে (১) জনগণকে যথাসম্ভব ধর্মের পথে ফিরিয়ে আনা৷ (২) ব্যক্তিউদ্যোগে, নিরবে-নিভৃতে-সংগোপনে খালিস ধর্মীয়শিক্ষা যেকোনো মূল্যে অব্যাহত রাখা।

(৩) আধুনিক সমাজব্যবস্থার ভঙ্গুর, ঠুনকো ও দুর্বল দিকগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরে সেক্যুলার মহলের বুদ্ধিবৃত্তিক মোকাবেলা করা॥
যেভাবে উলামায়ে কেরাম রাজধানী দিল্লির মাদরাসাগুলো গুটিয়ে চলে যান দেওবন্দ ও সাহারানপুরের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে। শুরু করেন সব ধরনের দৃষ্টি এড়িয়ে ইকামতে দ্বীনের নতুন মেহনত।

সেক্যুলারপন্থিরা মহান শায়খের উপর বহু আক্রমণ করেছিল, নব্বইয়ের দশকে একজন দরবারী মুফতীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, কিন্তু অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়, ২০০৭ এও এক ভয়ঙ্কর হামলা হয়, আল্লাহর রহমতে তিনি সেই যাত্রায়ও বেঁচে যান৷ পাঠক নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে, আয়া সোফিয়ার ফাতহুম মুবিন বা প্রকাশ্য বিজয়ের মূল চাবিকাঠি এই মহান শায়েখ।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ