শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫


তাজিকিস্তানে ড্রোন নির্মাণ কারখানা উদ্বোধন করল ইরান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: তাজিকিস্তানে ড্রোন নির্মাণ কারখানা উদ্বোধন করেছে ইরান। এ কারখানায় ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ড্রোন ‘আবাবিল টু’ নির্মাণ করা হবে।

মঙ্গলবার (১৭ মে) তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশাম্বে-তে কারখানাটি উদ্বোধন করেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরি ও তাজিকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শির আলী মির্জা। এ সময় দুই দেশের পদস্থ সামরিক ও বেসামিরক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ইরানি সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতে তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট দু’দেশের মধ্যকার অভিন্ন ভাষা এবং সকল ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করার কথা বলেন। ইরানি সেনাপ্রধানের দুশাম্বে সফরে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট ইমাম আলী রহমান বলেন, ইরানের সঙ্গে যেকোনো সামরিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে স্বাগত জানাবে তাজিকিস্তান।

তিনি এক্ষেত্রে ড্রোন নির্মাণ কারখানা উদ্বোধনকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে বলেন, সামরিক খাতে তেহরান-দুশাম্বে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে হবে।

সাক্ষাতে মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ায় ইরান ও তাজিকিস্তানের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানের প্রতি ইঙ্গিত করে জেনারেল বাকেরি বলেন, তাজিকিস্তানের সঙ্গে সামরিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা শক্তিশালী করার প্রতি তেহরান যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে।

তিনি বলেন, ইরান ও তাজিকিস্তানের প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় তেহরান ও দুশাম্বে ভূমিকা রাখতে পারে। ইরানের সেনাপ্রধান বলেন, তাজিকিস্তান ও ইরানের মধ্যে শক্তিশালী সামরিক সহযোগিতা আফগানিস্তানে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখবে।

ইরানের তৈরি 'আবাবিল-টু' ড্রোনের ওঠানামার জন্য রানওয়ের প্রয়োজন হয় না। এটি সামরিক যানে স্থাপিত লঞ্চার থেকেই উড়তে পারে। যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য এই ড্রোন ১১ হাজার ফুট উঁচুতে ঘণ্টায় আড়াইশ' কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে। ১০০ কিলোমিটার পাল্লার এই ড্রোনের একটানা দেড় থেকে দুই ঘণ্টা ওড়ার সক্ষমতা রয়েছে।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ মোহাম্মাদ বাকেরি তাজিকিস্তানে ড্রোন নির্মাণ প্রকল্প উদ্বোধন শেষে বলেছেন, ইরানি বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা দক্ষতার সঙ্গে ড্রোন নির্মাণ শিল্পকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন। ইরান বর্তমানে নিজের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বন্ধু রাষ্ট্রগুলোতে ড্রোন রপ্তানি করার পর্যায়ে পৌঁছেছে। নিরাপত্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠাই ইরানের লক্ষ্য।

তাজিকিস্তানের সঙ্গে ভবিষ্যতে সামরিক সহযোগিতা আরও বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সূত্র: এশিয়া টাইমস

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ