রবিবার, ২২ জুন ২০২৫ ।। ৭ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২৬ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আরও এক পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত ইরানকে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহায়তা দেবে রাশিয়া: পুতিন খেলাফত মজলিসের রংপুর বিভাগীয় তরবিয়তি সভা উত্তরসূরিদের নাম ঘোষণা করলেন খামেনি ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইরানের ড্রোন হামলা, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করে বিস্ময় সৃষ্টি আধিপত্যবাদ মোকাবেলায় ইসলামি শক্তির ঐক্য অপরিহার্য: ইবনে শাইখুল হাদিস পৃথিবীর শান্তি ও মানবতা ধ্বংস করছে ইসরায়েল, পতন অনিবার্য: হেফাজত  যে মাওলানার কাছে ভরাডুবি হয়েছিল সেই ফজলুর রহমানের হল না ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঢামেক শিক্ষার্থীদের, আন্দোলন চলবে

নির্মাণ শেষের আগেই বিশ্বের বিস্ময় টাঙ্গাইলের ২০১ গম্বুজ মসজিদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই বিশ্বের বুকে জায়গা করে নিয়েছে টাঙ্গাইলের গোপালপুরের ২০১ গম্বুজ মসজিদ। মসজিদটি দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি দেশের বাইরে থেকেও ভিড় করছে দর্শনার্থীরা। নির্মাতারা বলছেন, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গম্বুজবিশিষ্ট ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মিনারের মসজিদ।

টাঙ্গাইলের গোপালপুরের ২০১ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই গড়েছে বিশ্বরেকর্ড।

মসজিদটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ১৪৪ ফুট। ছাদের মূল গম্বুজের উচ্চতা ৮১ ফুট। এই গম্বুজের চারপাশ ঘিরে ১৭ ফুট উচ্চতার আরো ২০০ গম্বুজ তৈরি করা হয়েছে। মসজিদের চার কোনায় রয়েছে ১০১ ফুট উঁচু চারটি মিনার। মসজিদ নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে মিশর থেকে আনা উন্নত মানের টাইলস ও পিতল। যার ভেতরে লেখা রয়েছে পুরো কুরআন শরীফ।

মসজিদটির পশ্চিমাংশে উত্তর-দক্ষিণে বয়ে গেছে যমুনার শাখা ঝিনাই নদী। এটি মসজিদের সৌন্দর্যকে দিয়েছে ভিন্নমাত্রা। মসজিদের উত্তর দিকে অবস্থিত অজুখানা। বিশাল বড় অজুখানায় বসে অজু করার জন্য ছোট ছোট চেয়ারের মতো ১১৬টি আসন রয়েছে। অজুখানার ছাদ ছাইরঙা ক্ষুদ্রকায় পাথরের মতো মোজাইক করা। সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অজুখানাটি সামান্য বাঁকা করে নির্মাণ করা হয়েছে।

দ্বিতীয়তলায় প্রধান দরজা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৫০ মণ পিতল। এখানে একসঙ্গে ১৫ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন। দ্বিতল এই মসজিদটি নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের উন্নতমানের টাইলস- যা মিসর থেকে আনা হয়েছে। মসজিদের অভ্যন্তরের দেয়ালের চারদিকে একসারি টাইলস লাগানো হয়েছে, যাতে খণ্ড খণ্ড করে পুরো পবিত্র কোরআন লিপিবদ্ধ।

টাঙ্গাইলের গোপালপুরের দক্ষিন পাথালিয়া গ্রামে ২০১৩ সাথে সালে যার নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় । কাজ শেষ না হলেও মসজিদটি এখন দৃশ্যমান।

এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, এই মসজিদ ঘিরে আশপাশে তৈরি হচ্ছে ফাইভস্টার হোটেল, আবাসিক হোটেল, মার্কেট, হেলিপ্যাডসহ অত্যাধুনিক সব বিল্ডিং।

মসজিদটি দেখতে দুর দুরান্ত থেকে ছুটে আসছে দর্শনার্থীরা। মসজিদকে ঘিরে তৈরি হয়েছে দোকানপাট। কর্মস্থান হয়েছে এই এলাকার মানুষের।

১৫ বিঘা জমির ওপর নির্মাণাধীন মসজিদে একসঙ্গে ১৫ হাজার মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। কাজ শেষ হলে কাবা শরিফের ইমামের ইমামতি মধ্যদিয়ে মসজিদটি উদ্বোধন করার বিষয়টি বললেন মসজিদ পরিচালক আব্দুল করিম।

ইতোমধ্যেই মসজিদটি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য পর্যটক নির্মাণ কাজ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। এলাকার লোকজনের মধ্যেও মসজিদটি নিয়ে দেখা দিয়েছে দারুণ আগ্রহ। তবে নির্মাতাদের প্রত্যাশা, টাঙ্গাইলের অজোপাড়া পাথালিয়া গ্রামে নির্মাণাধীন ২০১ গম্বুজ মসজিদটি একদিন গিনেস বুকের পাতায় স্থান পাবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ